মসজিদের বারান্দা নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),পাবনার বেড়া প্রতিনিধি,    রোববার   ২৭ জুলাই ২০২৫ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩২ :

পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামে মসজিদের বারান্দা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের পর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

Advertisement

 

রবিবার (২৭ জুলাই) বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শনিবার রাতে দুই পক্ষ বেড়া থানায় পৃথক দুটি মামলা করেছে। বেড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওলিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Advertisement

 

তিনি বলেন, ‘‘তারাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মতিন প্রামাণিক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি সেলিম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’

 

‘‘অপরপক্ষে একই গ্রামের শাহ আলমের স্ত্রী হোসনে আরা খাতুন বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেছেন। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।’’- যোগ করেন ওসি।

 

গ্রেপ্তার সেলিম হোসেন (৪৮) তারাপুর গ্রামের মৃত সুলতান হোসেনের ছেলে। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে গ্রামের পুরনো মসজিদে মিলাদ মাহফিলে কিয়াম পড়া নিয়ে একটি ঝামেলা হয়। মসজিদের তৎকালীন ক্যাশিয়ার মতিনসহ একটি পক্ষ কিয়াম পড়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে নতুন মসজিদ নির্মাণ করেন।

সম্প্রতি এ মসজিদের বারান্দা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু একই গ্রামে দুটি মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানায় আরেকটি পক্ষ। শুক্রবার সকালে নতুন মসজিদের বারান্দা নির্মাণ করতে গেলে তাতে বাধা দেয় ওই পক্ষ।

 

এ সময় হাঁসুয়া, ট্যাটা ও লাঠিসোটা নিয়ে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

শনিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত হাদিস নামের একজন মারা যান। এ খবর এলাকায় পৌঁছালে দুপক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় অন্তত ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ উঠে।

 

বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোরশেদুল ইসলাম বলেন, “যেহেতু পরিস্থিতি থমথমে। যেকোনো সময় আবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে। সে কারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কেউ ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।”