মসজিদে সামনের কাতারে জায়গা না পাওয়ায় সাবেক সেনা কর্মকর্তার পিস্তল নিয়ে হামলা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),রূপগঞ্জ প্রতিনিধি,শুক্রবার   ২৫ জুলাই ২০২৫ ||  শ্রাবণ ১০ ১৪৩২ :

মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে মুসল্লিদের টেনে সরিয়ে সামনের কাতারে বসা নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা হারুন উর রশিদের সাথে মাদরাসা শিক্ষার্থী ও মুসল্লিদের সাথে বাকবিতন্ডার জেরে পিস্তল নিয়ে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে মিজানুর রহমান নামে মাদরাসা শিক্ষার্থী আহত হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাড়িয়াছনি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

Advertisement

বাড়িয়াছনির বাবুস সালাম মাদরাসা ও এতিমখানার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফাইজ উল্লাহ বলেন, হারুন নামীয় এক লোক বহুদিন ধরেই নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মুসল্লিদের সরিয়ে নামাজের সামনের কাতারে বসতেন। এছাড়াও ইসলামী মাসআলা নিয়ে ইমাম ও মাদরাসা শিক্ষার্থী নিয়ে কটুক্তি করেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর ছাত্রদের সাথে বিতর্কের জেরে পিস্তল নিয়ে হামলা করে মাদরাসা শিক্ষার্থী হাফেজ মিজানুর রহমানকে আহত করে। এ সময় ছাত্ররা পিস্তলসহ ও কথিত কর্মকর্তাকে আটক করে রূপগঞ্জ থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে শুধুমাত্র পিস্তল থানায় নেয়া হয়।

Advertisement

এ বিষয়ে স্থানীয় মুসুল্লি সিরাজ মিয়া বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর হারুন নামীয় ব্যক্তি বাড়িয়া ছনি এলাকায় জমি কিনে ঘরবাড়ি করে বসবাস করছেন। তার সাথে যে কেউ তর্ক করলে ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে গুলি করার ভয় দেখায়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত অবসর প্রাপ্ত মেজর হারুন উর রশিদ বলেন, আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি তারা হানাফী মাজহাবের অনুসারী, আর আমি হাম্বলী তরিকায় নামাজ পড়ি। তাই ইসলামী মাসআলা নিয়ে তর্ক হয়।

Advertisement

https://www.youtube.com/live/E9fMBkbJ3-M?si=k2Ro-HFkcInWkNQ

এতদিন সামনের কাতারেই বসতাম, আজ ভোরে নামাজ পড়তে গেলে তারা বøক করে সামনের কাতারে দাঁড়ায়। এতে আমি অপমানিত হই। পরবর্তীতে তর্কের জেরে দলবেঁধে আমাকে হামলা করতে চায়। তাই শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাতে আমার লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে যাই, কিন্তু কাউকে মারিনি। পরবর্তীতে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ আমার পিস্তল নিয়ে যায়। লাইসেন্স দেখিয়ে তা ফেরতের কথা বলে। আমি তা নিয়ে আসবো।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীর ওপর হামলা বিষয়ে মৌখিক জেনেছি। একটি বৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছি। তবে অভিযোগ না পাওয়া কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এলাকাবাসী ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিষয়টি এলাকায় বসে মিমাংসা করেছে।