ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কলকাতা ব্যুরো প্রতিনিধি,শনিবার ৩১ মে ২০২৫ || জ্যৈষ্ঠ ১৭ ১৪৩২ :
এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে ব্যাগ। ব্যাগের মধ্যে মধ্যবয়সী নারীর কাটা মাথা। টপটপ করে ব্যাগ থেকে ঝরছে তাজা রক্ত। কোনো দিকে লোকটির ভ্রূক্ষেপ নেই। চোখে-মুখে নেই আতঙ্ক বা অনুশোচনার ছাপ। ঘটনার তাপ-উত্তাপ কিছুই তাকে স্পর্শ করছে না। সে বড় রাস্তা ধরে দিনের আলোয় শত শত লোকের মধ্যে দিয়ে নির্দ্বিধায় নির্বিকার হেঁটে চলেছে থানার দিকে।
Advertisement
শনিবার (৩১ মে) সাতসকালে হাড়হিম করা এমন দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছেন কলকাতার দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার মানুষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ জানিয়েছে, বাসন্তী থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। নাম বিমল মণ্ডল। কাটা মাথাটি তার ভাবির। ধারালো লম্বা চাকু দিয়ে হত্যার পর ভাবির কাটা মাথা নিয়ে তিনি সোজা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। তবে, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত নারীর নাম সতী মণ্ডল। বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত বিমল মণ্ডলও একই এলাকায় থাকেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে স্থানীয় একটি মাঠে দাঁড়িয়ে বিমল এবং সতীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হচ্ছিল। হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো চাকু দিয়ে সতী মণ্ডলের ওপর আক্রমণ করে বিমল। ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে যায়। সতীর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিটকে পড়ে। এরপর এক হাতে চাকু, অন্য হাতে সতীর কাটা মাথা নিয়ে থানার উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করে বিমল।
Advertisement
এ সময়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভাবলেশহীনভাবে হেঁটে যাচ্ছে বিমল। আশপাশের মানুষ তাকে দেখে আঁতকে উঠছেন। অনেকে নিরাপদ দূরত্বে থেকে ভিডিও করছেন।
জানা গেছে, দেবর ও ভাবির মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিক বিবাদ চরমে উঠেছিল। তার জেরেই এই নৃশংস ঘটনা। তবে দুজনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাতের বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, বিমলকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।