তরুণ প্রজন্মই আইসিটি খাতকে এগিয়ে নেবে: অর্থমন্ত্রী

SHARE

ict-njঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে তরুণ প্রজন্মই একটি কাঠামোতে এ দাঁড় করাবে। আমরা শুরু করলেও তারাই এ খাতকে এগিয়ে নেবে।

রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে শুক্রবার (২৯ জুলাই) রাতে আয়োজিত বিজনেস প্রোসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশে বিপিও খাতে বাজার সম্ভাবনা তুলে ধরতে ২৮ ও ২৯ জুলাই এ সামিটের আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।

সামিটের সাফল্যের কথা তুলে ধরতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি অভিভূত। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমরা অনেক দেরিতে আইসিটিতে যাত্রা শুরু করেছি। কিন্তু অল্প সময়ে অনেক এগিয়েছি।

তিনি বলেন, ২০বছর আগেও এদেশে কম্পিউটার ব্যবহার অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিলেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কেননা, ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিশনের কারণেই আইসিটিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা শুরু করেছি, হয়তো আউটকাম দিতে পারিনি। তবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম আইসিটি খাতকে  একটা কাঠামো দেবে, এগিয়ে নেবে। এখন পর্যন্ত যে অর্জন, তা তাদের জন্যই।

তিনি আরো বলেন, আইসিটির মাধ্যমে উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নিতে সুবিধা হয়। এজন্য ১০বছর আগে আমরা আইসিটি খাত নিয়ে পলিসি গ্রহণ করি।

দু’দিনের এ সামিটে দু’টি উইথ সেশনসহ ১০টি সেশন ও ২টি ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়গুলো ছিলা ‘মেইনস্ট্রিমিং ভোকেশনাল এডুকেশন: এ প্যাথওয়ে টু ক্রিয়েট এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি ফর ইউথ’, ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল অ্যান্ড এডুকেশনাল রিডিনেস ফর বিপিও ইন বাংলাদশ’ প্রভৃতি।

সামিটে অনুষ্ঠিত সেশনে অংশ নিতে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থী, চাকরি প্রত্যাশী অংশ নিয়েছেন। এতে মোট ৭৭ জন বক্তা যার মধ্যে ২৩জন বিদেশি বক্তা বক্তব্য রেখেছেন। সমাপনী দিনশেষে ২১ হাজার চাকরি প্রত্যাশীর সিভি জমা পড়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার, আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক, বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বাক্যর সভাপতি আহমাদুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, বিপিও খাতে ভাল করার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। একে কাজে লাগাতে হবে। বর্তমানে এ খাতে ১৮০ মিলিয়ন ডলার আয় হয়। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই তা এক বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে এজন্য সরকারের সহায়তার বিকল্প নেই।

বক্তারা আরো বলেন, বিপিও খাতে ভাল করতে হলে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে ভাষার দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে বিপিও খাতে অবদানের জন্য সেরা উদ্যোক্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী।