ক্রিকেটার শাহাদাতের মামলার বাদী ও গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে পরোয়ানা

SHARE

sahadat-mamlaঢাকা : ক্রিকেটার কাজী শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যের গৃহকর্মী নির্যাতনের মামলায় বাদী সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক ও ভিকটিম গৃহকর্মী হ্যাপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।

মঙ্গলবার ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক তানজিনা ইসমাইল এ পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৭ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

মঙ্গলবার মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বাদী সাক্ষ্য দিতে না আসায় এবং ভিকটিমও ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় এ পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। তবে শুনানিকালে শাহাদাত এবং তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মিরপুরের ২ নম্বর সেকশনের এইচ ব্লকের ৫ নম্বর রোডে শাহাদাতের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো হ্যাপি। ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে পল্লবীর সাংবাদিক কলোনির ৩ নম্বর রোডের মাথায় হ্যাপিকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মিরাজ উদ্দীন নামে এক ব্যক্তি।

গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীবের বিরুদ্ধে ওইদিনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাংবাদিক খন্দকার মোজাম্মেল হক মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

মামলায় শাহাদাত ও তার স্ত্রী নিত্য শাহাদাতকে আসামি করা হয়। এজাহারে তাদের বিরুদ্ধে শিশুটিকে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গৃহপরিচারিকা মাহফুজা আক্তার হ্যাপি (১১) আদালতে হাজির হয়ে জবানবন্দি দেয়।

২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুর রহমান আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৪(২) ‘খ’ ধারা অনুযায়ী বিচারে শাহাদাৎ ও নিত্যের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের সর্বোচ্চ ১৪ এবং সর্বনিম্ন ৭ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৪ অক্টোবর শাহাদাতের স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর গত ৫ অক্টোবর শাহাদাত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তারও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।

দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ নিত্যের এবং গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্ট শাহাদাতের জামিন মঞ্জুর করলে তারা কারামুক্ত হন।