পিস টিভি বন্ধে সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় কেবল অপারেটররা

SHARE

তারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা এলে তাৎক্ষণিকভাবে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেবেন তারা।

কেবল অপারেটরদের সংগঠন বাংলাদেশ কেবল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মীর হোসেন আখতার শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি নিজেও আগে ওই চ্যানেলটি মাঝে মধ্যে দেখতাম। তবে গুলশানের ঘটনা ঘটার পর বুঝলাম যে- আমি যেভাবে এই চ্যানেল দেখতাম, অনেকেই সেভাবে দেখেন না।

“আমরা পুরো দেশেই চ্যানেলটি বন্ধ করে দিতে চাচ্ছি। তবে সরকারের কোনো নির্দেশনা না থাকায় এই মুহূর্তে তা সম্ভব হচ্ছে না।”

পিস টিভি জাকির নায়েক পরিচালিত মুম্বাইভিত্তিক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিষ্ঠান। এ টিভিতে ধর্ম নিয়ে আলোচনায় ইসলামের যে ব্যাখ্যা তিনি দেন, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

তার বক্তৃতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার বহু তরুণ জঙ্গিবাদে ঝুঁকছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গুলশানে হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন নিয়মিত জাকির নায়েকের বক্তব্য অনুসরণ করতেন বলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য মিলেছে।

এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর জাকির নায়েকের বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে ভারত সরকার। জঙ্গিবাদে উৎসাহ যোগানের অভিযোগ নিয়ে এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। মুম্বাইয়ে তার অফিস ঘিরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গুলশান হামলার পরই পিস টিভির সম্প্রচার নিয়ে নতুন করে ভাবার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ কেবল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আখতার।

কেবল অপারেটরদের অপর সংগঠন কেবল অপারেটার্স বাংলাদেশের (কব) সাবেক সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ জানান, এরই মধ্যে ঢাকার কিছু এলাকায় পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমাদের দেশটা শান্তিপ্রিয় দেশ। আমাদের কোনো প্রয়োজন নাই পিস টিভির।”

সরকারের নির্দেশনা পেলে সারা দেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেওয়া সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় কেবল সংযোগ দেওয়া শাজাহান আহমেদও পিস টিভির বিষয়ে একই কথা বলেন।

কব নেতা আনোয়ার পারভেজ বলছেন, টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের এখতিয়ার আগে কেবল অপারেটরদের হাতে থাকলেও গত পাঁচ বছর ধরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী চ্যানেল সম্প্রচার করছেন তারা।

পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেবে কি না তা জানতে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন যুক্তরাজ্য ও কানাডায় নিষিদ্ধ। এমনকি মুসলিম প্রধান মালয়েশিয়াতেও জাকির নায়েকের বক্তব্য প্রচারের অনুমতি নেই।