তবুও উপচেপড়া ভিড়

SHARE

hatirjhilঢাকা: মর্মান্তিক গুলশান হত্যাকাণ্ড, শোলাকিয়ার ঘটনার শোক বুকে নিয়ে ঈদ উদযাপন করছেন দেশের মানুষ। তবে সাধারণ মানুষের মতে, সন্ত্রাসীরা কিছু মূল্যবান জীবন নিলেও বাংলাদেশের সাহসী মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়াতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার (০৭ জুলাই) রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উদযাপনে আনন্দের কোনো ঘাটতি নেই। দুপুরের পরপরই রাজধানীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় জমতে শুরু করে। ঈদে ফাঁকা হয়ে যাওয়া ঢাকা ঘুরে দেখার এ সুযোগ কিছুতেই ছাড়তে রাজি নন নগরবাসী।

বিনোদনের কেন্দ্র হয়ে ওঠা হাতিরঝিল এলাকাও বিকেলে মুখরিত হয়ে ওঠে দর্শনার্থীদের পদচারণায়।

মিরপুর থেকে বেড়াতে আসা রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘এমন ঈদ বাংলাদেশে আর আসেনি ঠিকই। তবে কিছু মানুষের জন্য ভয় পাওয়া যাবে না। আমরা বাংলাদেশি-বাঙালি। আমাদের কলিজা অনেক বড়। আর এজন্যই পরিবার নিয়ে সকল শঙ্কা কাটিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে এসেছি’।

ধানমণ্ডি থেকে আসা জান্নাত হোসাইন বলেন, ‘ঈদ মানেই আনন্দ। ইসলামেই এ দিনটি উপভোগ করতে বলা আছে। অথচ কিছু মানুষ এমন দিনকেও কলুষিত করলো। তবে আমরা ভয় পাই না। এদেশ আমার দেশ। আমি ভয় পেয়ে ঘরে বসে থাকলেই বরং ওরা জিতে যাবে। সেটা হতে দেওয়া যায় না’।

হাতিরঝিলের চারপাশেই সাধারণ দর্শনার্থীদের ভিড়ে বিভিন্ন মোড়ে কিছুটা যানজটও সৃষ্টি হয়।

এরই মাঝে শিশুরা মেতে উঠেছে খেলায়। আর পালন করছে যেন সেলফি উৎসব।

বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত সৌরভ সিংকে সপরিবারে পাওয়া যায় হাতিরঝিলের পশ্চিম প্রান্তে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘উৎসব সবার। পূজা যেমন আমাদের উৎসব, ঈদও কোনো অংশে কম নয়। তাই অনেকের মতো আমিও পরিবার নিয়ে বের হয়েছি। আর বেড়ানোর জন্য হাতিরঝিলের বিকল্প নেই।  দেশটা নিরাপদে থাকুক। আমরা সকল ধর্মের মানুষ মিলে-মিশে শান্তিতে থাকি- এটাই শুধু চাই’।

হাতিরঝিলের পূর্ব প্রান্তেও মানুষের মেলা। কিছুটা কম হলেও রয়েছে ফেরিওয়ালাদের ভিড়। বেলুন, খেলনা, বাদাম, আইসক্রিমসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে তারাও হাজির হয়েছে উৎসবকে আরো রাঙাতে।

এসব পণ্যের প্রতি শিশুসহ সকল বয়সী দর্শনার্থীদের আগ্রহও রয়েছে।

রামপুরা থেকে আসা জিসান আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে যাওয়ায় অন্যান্য যেকোনো  উৎসবের তুলনায় ঈদে ঢাকার বিনোদনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা থাকে। পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর এটাই যোগ্য সময়’।

তবে রাস্তায় বের হয়ে যানবাহন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে তিনি জানান।

জিসান বলেন, ‘বাস থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা সকল যানবাহনের ভাড়াই বেশি। বকশিশের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের উৎসব শুরু হয়েছে। এটা একটু কষ্টদায়ক’।