প্রেমিকার আগমনে বিয়ে বাড়ি থেকে দৌঁড়ে পালালেন পুলিশ সদস্য! (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),জামালপুরের মেলান্দহ  প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০২ আগস্ট ২০২৪, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩১ এক বছর দুই মাস প্রেম! তবে এই প্রেম উপেক্ষা করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন প্রেমিক (পুলিশ)। এই খবর শুনে তার বাড়িতে উঠেছেন কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকা। তার ( প্রেমিকার) উপস্থিতি দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যান ঐ পুলিশ সদস্য। এতে পণ্ড হয় বিয়ের সব আয়োজন। পরিস্থিতি সামাল দিতে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে আসে থানা পুলিশ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকালে এমনই ঘটনা ঘটেছে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া গ্রামে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এলাকার আমির হামজার ছেলে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদ বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার পুলিশ লাইন্সে কর্মরত। দেড় বছর আগে বিয়ে করতে পাত্রী দেখতে মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়াবাড়িতে গ্রামে যান তিনি। মেয়েকে পছন্দ করে তার মোবাইল নম্বরও নিয়ে আসেন। এরপরই থেকেই শুরু হয় মন দেয়া-নেয়া। চলতে থাকে প্রেম। প্রতিশ্রুতি হয় বিয়ের।  
 
কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎ করে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয় মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর এলাকায়। বিয়েতে আট লাখ টাকা যৌতুক পাওয়ার কথা ছিল তার। চলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বুধবার (৩১ জুলাই) হয় রাসেলের গায়ে হলুদ। বৃহস্পতিবার ছিল বিয়ের আয়োজন।

পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিকঠাক হওয়াতে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রাখেন রাসেল। অবশেষে বিয়ের খবর জানতে পেরে বৃহস্পতিবার প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুইটি আক্তার। তার উপস্থিতি দেখে বাড়ি থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যান পুলিশ সদস্য। মুহুর্তের মধ্যে এলাকাবাসী ভিড় করে বিয়ে বাড়িতে। আর এতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিয়ের সব আয়োজন।
এসময় প্রেমিকা সুইটি আক্তার আত্মচিৎকার করে বারবার বলতে থাকেন, ‘রাসেল আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।’

Advertisement


একপর্যায়ে রাসেলের পরিবার প্রেমিকা সুইটি আক্তার কে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার প্রাণপন চেষ্টা করে।

সুইটি আক্তার বলেন, ‘এক বছর দুই মাস ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালীন জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে দেখা করেছি। রাসেল আমাদের বাড়িতেও গিয়েছিল। আমার পরিবারের সবার সাথেই তার পরিচিয় হয়েছে। আমিও তাদের পরিবারের সবার সাথেই মোবাইলে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দেখা করেছে বারবার। এখন একি করছে তার পরিবার! এটা কি মেনে যায় কোনো ভাবে? বিয়ের কথা শুনে বাড়িতে আসলে রাসেলও পালিয়ে যায়। এখন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব।’

পুলিশ সদস্য রাসেলের বাবা আমির হামজা বলেন, ‘এই মেয়ে জোর করে বাড়িতে উঠেছে। তার সাথে আমার ছেলের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না।’

Advertisement

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে থানা পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে মেলান্দহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মদন সিংসহ  বলেন, বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে মেয়ে উঠার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ছেলের পরিবার তাদের সর্ম্পকের কথা অস্বীকার করেছে। আমরা মেয়েটিকে আইনি সহায়তা দিতে পরামর্শ দিয়েছি। থানায় এসে পুলিশের সহায়তা চাইলে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।
পাত্রী দেখতে গিয়ে পছন্দ হয় সুইটিকে, পরে তার সাথেই বিয়ের আশ্বাসে হয় প্রেম, এখন পুলিশ সদস্য আবার অন্য মেয়েকে বিয়ে করতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি। ছবি: ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি)