‘বাংলাদেশ ব্যাংকে অস্থিরতা সৃষ্টির সুযোগ নেই’

SHARE

muhi1-SM2016062218321920160622201129ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ‘জড়িত’দের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার (২২ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ চুরির তদন্ত দল যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ কারণে তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশে কিছুটা দেরি করা হচ্ছে। তবে ঈদের পর সেটি প্রকাশ করা হবে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তায় মামলা করবে দুদক।

বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় দুই শতাধিক চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের মধ্যে কেউ যদি অভিযুক্ত হন,  তাহলে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব কর্মকর্তা হলে তাকে সাসপেন্ড করা হবে।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা  বাংলাদেশ ব্যাংকে অস্থিরতার সৃষ্টি করবে কি-না জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘না, তেমন কোনো চান্স নেই। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত দুইশ’ কর্মকর্তার দ্বারা। চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাদের সবাইকে চলে যেতে হবে। কারো চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করা হবে না। তারা সকলেই বহিরাগত পরামর্শক’।

এর অাগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক করেন ৮ সদস্যের রাশিয়ান প্রতিনিধি দল। তারা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সময়সূচিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রস্তুতিমূলক কাজ এ বছর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৪ সালে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সহায়তা করছে রাশিয়া।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাশিয়ান ফেডারেশনের স্টেট কো-অপারেশন রোসাটম ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল নিকোলাই নিকোলায়েভিচ, বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ নিকোলায়েভসহ আট সদস্যের প্রতিনিধি দল।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করায় এর দাম বেশি হবে। আর এ পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদকাল ৯০ বছর।