মেসির অনন্য রেকর্ডে ফাইনালে আর্জেন্টিনা

SHARE
মেসির অনন্য রেকর্ডে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একপেশে ম্যাচই হলো! স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েই শতবর্ষী কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠে গেছে ‘ফেভারিট’ আর্জেন্টিনা। আগের ম্যাচেই গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ছুঁয়েছিলেন। আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি এবার নিজের করে নিলেন লিওনেল মেসি (৫৫)।

একটি গোলের পাশাপাশি সতীর্থদের আরো দু’টি করিয়েছেন মেসি। ‘মেসিময় সেমিফাইনাল’ বললেও বোধ হয় ভুল হবে না! আক্রমণভাগে বার্সেলোনা আইকনের সঙ্গী ছিলেন গঞ্জালো হিগুয়েইন ও এজেকুয়েল লাভেজ্জি। ৪-৩-৩ ফর্মেশনে একাদশ সাজান জেরার্ডো মার্টিনো। স্কোয়াডে থাকলেও অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া, সার্জিও আগুয়েরো ও হাভিয়ের পাস্তোরের মাঠে ‍নামা হয়নি।

২৩ বছরের শিরোপা খরা কাটানোর মিশনে আর মাত্র একটি জয় দূরে আলবিসেলেস্তেরা। এবারও উত্তেজনাপূর্ণ চিলি-আর্জেন্টিনা ফাইনাল উপভোগ করতে পারেন দর্শকরা। গত বছর আর্জেন্টাইনদের কাঁদিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা উল্লাস করেছিলেন আলেক্সিস সানচেজরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হবে চিলি। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ম্যাচটি শুরু হবে। ফাইনাল ২৭ জুন (একই সময়ে)।

এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৮ বার বল জড়িয়েছেন মেসি-হিগুয়েইনরা। বোঝাই যাচ্ছে, শিরোপার স্বাদ নিতে কতটাই না মরিয়া দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

নিষেধাজ্ঞার কারণে দলের অন্যতম দুই সেরা তারকা মিডফিল্ডার জারমেইন জোন্স ও ফরোয়ার্ড ববি উডকে ছাড়াই স্বাগতিকদের মাঠে নামেতে হয়। ম্যাচেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। নব্বই মিনিটে একবারও আর্জেন্টিনার গোলমুখে শট নিতে পারেনি জার্গেন ক্লিন্সম্যানের যুক্তরাষ্ট্র। ব্রাডলি-ডেম্পসিদের চোখে-মুখে হতাশার প্রতিচ্ছবিই ফুটে ‍ওঠে।

অন্যদিকে, বল দখলের লড়াই সহ আক্রমণাত্মক ফুটবলে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ ব্যতিব্যস্ত করে রাখে ১৪ বারের কোপা চ্যাম্পিয়নরা। প্রায় ৭০ শতাংশ বলই থাকে তাদের দখলে।

টেক্সাসের হিউস্টনের রেলিয়ান্ট স্টেডিয়ামে খেলা শুরুর তিন মিনিটেই লিড নেয় আর্জেন্টিনা। মেসির পাস থেকে হেডে বল জালে পাঠান লাভেজ্জি। ৩২ মিনিটে চোখ ধাঁধানো ফ্রি-কিকে রেকর্ড গড়া গোল উল্লাসে মাতেন মেসি।

কোয়ার্টার ফাইনালের পর সেমিতেও জোড়া গোল করেছেন হিগুয়েইন। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় তিনি স্কোরশিটে নাম লেখান। আর নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট আগে স্বাগতিকদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন নাপোলি স্ট্রাইকার। যার নেপথ্য কারিগর আর কেউ নন, পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি।