মিল্টনের আশ্রমে থাকা ব্যক্তিদের দায়িত্ব নিল আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন (ভিডিও)

SHARE

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হওয়া ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’-এর চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমের দায়িত্ব নিয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন ৷

মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: আজকের পত্রিকা মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি) সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হওয়া ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’-এর চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমের দায়িত্ব নিয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন ৷

Advertisement

আজ সোমবার মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামক আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তারের পর নতুন করে চার দিনের রিমান্ডে আছেন। ওই আশ্রমে আশ্রিত শিশু, অসহায় বৃদ্ধ, ভারসাম্যহীন মানুষগুলোর দেখভালের দায়িত্ব নিয়েছে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন। এর কর্ণধার আমাদের কাছে গতকাল এসেছিলেন। তিনি ওই আশ্রমে রেখেই আশ্রিতদের সেবা দেবেন।

আশ্রমে বর্তমানে ৪৫ জন শিশু আছে বলে আদালতকে অবহিত করেছেন চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার। শুনানির একপর্যায়ে তিনি বলেন, আশ্রমে বর্তমানে ৪৫টা বাচ্চা আছে। ডিবিকে বলেন তাদের নিয়ে যেতে।

গ্রেপ্তারের পরে গত রোববার তিন দিনের রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মিরপুর জোনাল টিমের উপপরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।

এরপর তাঁকে মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাঁকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তাঁর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Advertisement

হারুন বলেন, ‘আমরা একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে পেয়েছি। তিনি গতকাল আমাদের এখানে এসেছিলেন। আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি। তিনি আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধার। মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার নামক আশ্রমের পুরো দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছেন। সব খরচ তিনি বহন করবেন। আশ্রমে আশ্রিত গরিব, অসহায় মানুষগুলোর সেবা সেখানেই দেবেন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন নামক প্রতিষ্ঠানটি। আপাতত এটা চলবে। পরে অন্য চিন্তাভাবনা করব।’

রিমান্ডে থাকা মিল্টন সমাদ্দারকে জিজ্ঞাসাবাদে নতুন কী তথ্য পাওয়া গেল—এমন প্রশ্নের জবাবে হারুন বলেন, ‘যেসব তথ্য আমরা পেয়েছি, সেগুলো যাচাইবাছাই চলছে। সব অভিযোগেরই তদন্ত হবে। কোনোভাবেই ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।’

মিল্টন সমাদ্দার মাদক সেবনের বিষয়ে জানতে চাইলে হারুন আরও বলেন, ‘মিল্টন যে মাদক সেবন করেন, ইয়াবা খান সেটি তো তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। তাঁর অত্যাচারের মাত্রা এতই ছিল যে অনাথ বাচ্চা শিশু, অসহায় ভারসাম্যহীন মানুষগুলো চিৎকার করতেন। তা তো তিনি করতে পারেন না। তাঁর আশ্রমে যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের ডেথ সার্টিফিকেট নিজেই দিতেন, ডাক্তারের সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে। তাঁদের যে কোথায় কবর দেওয়া হলো! জানাজাবিহীন। সে তথ্য কিন্তু তিনি আস্তে আস্তে স্বীকার করা শুরু করেছেন। তদন্ত শেষ হলে এ ব্যাপারে জানানো হবে।’

Advertisement

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’-এর দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. নাসির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সাময়িকভাবে এই আশ্রমের দায়িত্ব নিয়েছি ৷ ডিবিপ্রধান হারুন স্যার এই আশ্রম নিয়ে খুবই কনসার্ন। সেখান থেকেই আশ্রমে থাকা শিশু-বৃদ্ধদের যেন কোনো কষ্ট না হয় তাই আমরা তাদের দায়িত্ব নিয়েছি।’