কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা রুখতে হবে (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ : বর্তমান বাংলাদেশে কিশোর গ্যাং একটি আতঙ্কের নাম। শুধু শহরে নয়, গ্রামীণ জনপদেও ছড়িয়ে পড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা। যে সময়ে পরিবার ও সমাজের নিবিড় যত্নে কিশোরদের বেড়ে ওঠার কথা সে সময়ে পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক অনুশাসনকে অবজ্ঞা করে কিশোররা যুক্ত হয়ে পড়ছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে। স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় এই কিশোর গ্যাং দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে গণমাধ্যমসূত্রে প্রায়ই জানা যায়। রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে চলে এসব কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা। সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমণ্ডি এলাকা থেকে পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেফতার করে যারা বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। গ্রেফতারকৃতদের কাছে পাওয়া গেছে চাপাতি, ছুরি, চাকু, চাইনিজ কুড়াল, অ্যান্টি কাটারসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র। এরা দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ, আদাবর, ঢাকা উদ্যান ও ধানমণ্ডি এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। এরা শুধু নিজেরা অপরাধ করে না, অপরাধ সংঘটিত করার জন্য ভাড়াও খাটে। দিনেরবেলায় এরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লেগুনা জাতীয় ছোটো গাড়ির চালক, হেলপার, দোকান কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক, ভাঙ্গারি মালামালের ক্রেতা কিংবা সবজি বিক্রেতা হিসেবে কাজ করে। আর রাতের বেলায় একা চলা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। ২৬শে মার্চ ২০২৪ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের উত্থানের মূলে রয়েছে মাদক ব্যবসা। তারা মাদক, ইয়াবা ও বিভিন্ন প্রকার নেশাজাতীয় নিষিদ্ধ দ্রব্য বহন করে। কেউ অর্ডার দিলে মোটরসাইকেলযোগে পৌঁছে দেয়। স্থানীয় থানা-পুলিশ তাদের নিকট থেকে মাসোহারা পায়। গ্রেফতার হলেও জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের দলীয় লোক বলে ছাড়িয়ে আনে। কোমলমতি এই শিশু-কিশোরেরা এক সময় এমন ছিল না। সমাজের বয়জ্যেষ্ঠরা তাদেরকে শাসন করতে পারতো। সন্তানতুল্য এই কিশোররা এখন সামাজিক শাসনের তোয়াক্কা করে না। এখন এদেরকে চাঁদা দিয়েই কেবল সমাজে নিরাপদে চলা যায়। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে সামাজিক বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন বিশিষ্টজনেরা।

Advertisement

কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পাড়া-মহল্লারই উঠতি বয়সের বখাটে ছেলে। প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থে এসব ছেলেদের ব্যবহার করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এদের মাধ্যমেই বিভিন্ন উপলক্ষ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান, বাড়ির মালিক ও বড়ো চাকরিজীবীদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে। ঈদ, নববর্ষ, থার্টিফাস্ট নাইট, পার্টি, পিকনিক- এসব পর্বকে সামনে রেখে সালামির নামে চাঁদাবাজি করা এখন কিশোর গ্যাংয়ের নিয়মিত তৎপরতা হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে কিংবা রাস্তা-ঘাটে মেয়েদের উত্যক্ত করা থেকে শুরু করে মাদকব্যবসা, পাড়া-মহল্লায় আধিপত্য বিস্তার, মারামারি- এমনকি খুনাখুনি পর্যন্ত করছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। একশ্রেণির অসাধু রাজনৈতিক নেতা ভোটের সময় এদের অনৈতিক কাজেও ব্যবহার করে।

অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করেন সরকার সমর্থকদের ছত্রছায়ায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। কিশোর গ্যাং আতঙ্কে সাধারণ মানুষ এখন দিশেহারা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির হাত থেকে মানুষ এখন মুক্তি চায়। শুধু তাই নয়, কিশোর গ্যাং সৃষ্টি করে এসব উঠতি যুবকদের জীবন ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। কিশোর গ্যাং ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে সামাজিক অবক্ষয় ভয়াবহরূপে দেখা দিতে পারে। সমাজচিন্তক ও অপরাধবিজ্ঞানীগণ মনে করেন, বর্তমান বাংলাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে তাতে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদেরকে দমন করতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে শুধু তাদের গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া গ্যাংগুলোর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা কিংবা তাদের পৃষ্টপোষক হিসেবে পরিচিত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কথিত ‘বড়ো ভাইদের’ আইনের আওতায় আনতে পারে না। বরং এই বড়ো ভায়েরাই বিভিন্নভাবে গ্রেফতারকৃতদের ছাড়িয়ে আনে। এ বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েও সম্প্রতি পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেছেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সারা দেশের সব থানাকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের ব্যাপারে কোনো আপস নেই। যেখানে কিশোর গ্যাং অপরাধ করবে, সেখানেই ব্যবস্থা নিতে হবে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাত বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত এলিট ফোর্স র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, র‌্যাব মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিচ্ছে। সারা দেশে র‌্যাবের পক্ষ থেকে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা করে অভিযান চালানো হচ্ছে। আমরা কাউকে ছাড়বো না। কোনো অবস্থাতেই দেশে কিশোর গ্যাংয়ের কোনো চিহ্ন রাখবো না। পুলিশ ও র‌্যাবের মহাপরিচালকের বক্তব্যে সাধারণ মানুষ খুব বেশি স্বস্তি ফিরে পেয়েছে বলে মনে হয় না। বাস্তবতার নিরিখে স্বস্তিবোধ করার কোনো পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে না। কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা বেড়েই চলছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে।

 

গত ১৭ বছরে শুধু ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের হাতে ১২০ জন খুন হয়েছে এবং এর মধ্যে গত দুই বছরেই ৩৪ জন খুন হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকায় ৩৪টি কিশোর গ্যাং সক্রিয় রয়েছে। র‌্যাবের প্রতিবেদন আরো ভয়াবহ। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকায় প্রায় অর্ধশত কিশোর গ্যাং সক্রিয় অবস্থায় আছে। তবে গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে জানা গেছে ভিন্ন চিত্র। সেখানে শতাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয় থাকার কথা বলা হয়েছে। জানা গেছে, ঢাকার মিরপুর ও উত্তরা এলাকায় সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এই দুই এলাকায়ই প্রায় অর্ধশত কিশোর গ্যাং সক্রিয় থাকার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া তেজগাঁও, ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগ, মহাখালী, বংশাল, মুগদা, চকবাজার ও শ্যামপুরে একাধিক কিশোর গ্যাং সক্রিয়। এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা মাদক চোরাচালান, চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন, নারী ও শিশু নির্যাতন, পর্নোগ্রাফি- এমনকি খুনাখুনির মতো নৃশংস অপরাধের সঙ্গেও যুক্ত হয়ে গেছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়া পায় বলেই এরা এসব ভয়ংকর অপরাধ করতে পারে বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

কিশোর গ্যাং এখন এমন একটি কালচারে পরিণত হয়েছে, যার মাধ্যমে বখাটে কিশোরেরা ‘হিরোইজম’ বা বীরত্ব প্রদর্শন করে থাকে বা করতে চায়। কিশোর গ্যাংয়ের নামগুলোও খুব বিচিত্র। আক্তার গ্রুপ, মাসুম গ্যাং, পিনিক গ্রুপ, বাপ্পী গ্রুপ, লিমন গ্রুপ, ফার্স্ট হিটার বস, এফবিএএইচ, লেজ টু পেজ, ভাস্কর বাহিনী, রিংকু বাহিনী, আশিক বাহিনী, পটেটো বাবু বাহিনী, ডিজে রোমান বাহিনী, ম্যাক্স পলু বাহিনী, রুবেল বাহিনী, অনিক বাহিনী, পারভেজ বাহিনী, মিলন বাহিনী, বাট্টু বাহিনী, বাবলা বাহিনী, ডাসা বাহিনী, লিটন বাহিনী, মুক্তার বাহিনী, নাসির বাহিনী, জুয়েল বাহিনী, শান্ত বাহিনী ইত্যাদি নাম নিয়ে এক একটি এলাকার দখল নিয়েছে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বেশিরভাগ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা ১০ থেকে ৫০ জন। নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে কিশোর গ্যাং কালচারের সঙ্গে যুক্ত কিশোরেরা এক পর্যায়ে আলাদা আলাদা গ্রুপ বা গ্যাং তৈরি করে। তাদের ড্রেস কোড থাকে, থাকে আলাদা হেয়ার স্টাইল। চাল-চলনেও তারা এক ধরনের ভিন্নতা বজায় রাখে। নিজ নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো অসুবিধায় পড়তে হয় না। কারণ, এলাকার প্রভাবশালী কোনো না কোনো ‘বড়ো ভাই’ নেপথ্যে থেকে তাদেরকে সেল্টার দেয়। এই বড়ো ভাইদের বিশেষ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিচয় থাকে। নিজেদের স্বার্থে তারা কিশোরদের ব্যবহার করে। প্রকৃতপক্ষে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা যেসব অপরাধ করে সেসব অপরাধের নেপথ্যে থাকে কথিত ‘বড়ো ভাইয়েরা’। বড়ো ভাইয়েরা নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই কিশোর গ্যাং সৃষ্টি করে বলে শোনা যায়। এছাড়াও আমাদের দেশের প্রান্তিক সমাজে শিশুদের লালন-পালন করার ক্ষেত্রে নানা ধরনের অবহেলা দেখা যায়। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিশু সহজেই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হয়ে যায়। পারিবারিক বন্ধনের অভাবে উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা কিশোর অপরাধী হয়ে ওঠে। পরিবারের সদস্যদের চরম ব্যস্ততার ফলে শিশু-কিশোরদের সামাজিকীকরণের বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এ কারণে কিশোরদের মনে ক্ষোভ-হতাশা বাড়ছে এবং তারা অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠছে। এ অবস্থায় খুব সহজেই তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। শুধু আইনের দ্বারা কিশোর অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব নয়।

র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনী অভিযান চালিয়ে এ যাবৎ অনেক কিশোর অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য না কমে বরং বেড়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহ অপতৎপরতায় সাধারণ মানুষ এখন আরো বেশি নিরাপত্তাহীন। দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বাড়লেও মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা বাড়েনি। আত্মসম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সামাজিক নিরাপত্তার গুরুত্ব অপরিসীম। আজকাল জীবনের নিরাপত্তাও হুমকির মুখে। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের হাতে যারা খুন হয় তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে তারা কিশোর গ্যাংয়ের টার্গেটে পড়ে যায়। কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা কখনো নিজেদের মধ্যে আবার কখনো অন্য কোনো গ্রুপের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ২০২৩ সালে রাজধানী ঢাকায় যত খুন হয়েছে তার ২৫টিই কিশোর গ্যাং সংশ্লিষ্ট বলে ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

ভয়াবহ এই সামাজিক সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতেই হবে। সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় পরিবার ও সমাজপতিদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এক সময় স্থানীয় মুরুব্বিরাই দায়িত্ব নিয়ে কিশোর অপরাধের বিচার ও কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতেন। এখন মুরুব্বিদের জায়গা নিয়েছেন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। তারা কিশোর অপরাধ দমন না করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিশোরদের ব্যবহার করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও এসব অপরাধীকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ আছে। যারা অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করবেন এবং যারা সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করবেন তাদের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ দুঃখজনক। পরবর্তী প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কিশোর গ্যাং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কিশোর গ্যাং নির্মূলে সর্বস্তরের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একযোগে কাজ করতে হবে।

 

আলী রেজা: কলাম লেখক, পিএইচডি গবেষক, ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়