ইউরোপীয় যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে এমভি আবদুল্লাহ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,(ভিডিও),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ : সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩৩ দিন বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। মুক্ত হওয়ার পর ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি বিশেষ নিরাপত্তায় রওনা হয়েছে দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌ-মিশনের দু’টি যুদ্ধজাহাজ কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে এমভি আবদুল্লাহকে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

Advertisement

ইউনাভফোর এর ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, অপারেশন আটলান্টার দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে।

জাহাজটির মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির (কেএসআরএম) গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, ভিডিওতে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন একটি ভিডিও ধারণ করেছেন। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ মিশনের দুটি যুদ্ধজাহাজকে এমভি আবদুল্লাহর দিকে আসতে দেখা গেছে।

সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ এ করা পোস্টে জানানো হয়, ‘বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এবং এর ২৩ নাবিকের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করছে অপারেশন আটলান্টা।’

Advertisement

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেভাল ফোর্স বা ইউনাভফোরের অপারেশন আটলান্টা হচ্ছে পশ্চিম ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগরে তাদের নৌ-নিরাপত্তা বিষয়ক কার্যক্রম।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

Advertisement

এর আগে গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হারমিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটি জিম্মির পর সোমালিয়ার জেফল উপকূলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের বিনিময়ে ৩৩ দিন পর কবল থেকে ছাড়া পান ২৩ বাংলাদেশি নাবিক।