নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে অপরাধে জড়াচ্ছে শিক্ষার্থীরা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪  : চট্টগ্রাম নগরীতে কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে। কেন অপরাধে জড়াচ্ছে কিশোর এবং উঠতি বয়সের তরুণরা? এত বেপরোয়া হওয়ার পেছনে তাদের সাহস জোগাচ্ছে কারা?

Advertisement

এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়েই জানা যাচ্ছে— নগরীতে নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। আর ক্লাস ফাঁকি দেওয়া অনেক শিক্ষার্থীই জড়িয়ে পড়ছে গ্যাং কালচারে। সেসব গ্যাংয়ের হাত ধরেই শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ছে কিশোর অপরাধ, পর্নোগ্রাফি ও সাইবার অপরাধে। অভিভাবকদের অগোচরে তাদের এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পেছনে কাজ করছে ‘কথিত বড় ভাই’দের প্ররোচনা।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বিশেষ শাখা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সামাজিক অস্থিরতা, কিশোর গ্রুপের উত্থান ও প্রসারের কারণ নিয়ে এ জরিপ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এরই মধ্যে প্রতিবেদনটি পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে।

সিএমপির উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মুহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘কিশোর অপরাধ কেন বাড়ছে— এর কারণ অনুসন্ধান করেছি আমরা। কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি-অনুপস্থিতির হার যাচাই-বাছাই করেছি। এতে আমরা দেখেছি, মোট শিক্ষার্থীর অন্তত ৭০ শতাংশের ক্লাসে উপস্থিতির হার সন্তোষজনক নয়।’

আমরা অনুপস্থিতির কারণ ও শিক্ষার্থীদের মনোভাবও যাচাই করে দেখেছি। আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় দুটি পাবলিক পরীক্ষা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ক্লাসে উপস্থিতির কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। যদি ক্লাসে উপস্থিতি যাচাই করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আইন থাকত, তাহলে ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রোধ হতো অনেকাংশে। এ জন্য আমরা দুটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করেছি,’— বলেন মঞ্জুর মোর্শেদ।

সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ৩০ শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী শতভাগ ক্লাসে উপস্থিত থাকে। ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী মোট ক্লাসের অর্ধেকেরও কম ক্লাসে উপস্থিত থাকে। ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ৩০ শতাংশেরও কম ক্লাসে উপস্থিত থাকে। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, যাদের অনেকে কিশোর অপরাধে জড়াচ্ছে।

এর আগে এসএসসির নির্বাচরি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ৩ মার্চ পরিপত্র জারি করেছিল। তবে একই বছরের ৩ আগস্ট সেই আদেশ বাতিল করা হয়। গত ৯ বছরেও ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিজেদের কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেনি।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন স্কুল-কলেজের সংখ্যা প্রায় ১৮০০। এর মধ্যে পাঁচ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে চট্টগ্রাম মহানগরীতে। সিএমপির বিশেষ শাখা নগরীর বেশ কয়েকটি স্কুলে গেলেও জরিপ প্রতিবেদনে তিনটি প্রতিষ্ঠানের চিত্র তুলে ধরেছে। এগুলো হলো— সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুল এ-জার বেগম সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের দ্বাদশ শ্রেণিতে ৩৮৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিতি ছিল মাত্র ৮১ জনের, যা মোট শিক্ষার্থীর ২১ শতাংশ। ১৫৫ জন শিক্ষার্থী অর্ধেক ক্লাসও করেনি।

গুল এ-জার বেগম সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের দশম শ্রেণিতে মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান বিভাগে মোট শিক্ষার্থী ছিল ১১৬ জন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ বার তার চেয়ে সামান্য কিছু বেশি ক্লাসে উপস্থিত ছিল মাত্র ৩৩ জন। অর্ধেকেরও কম ক্লাসে উপস্থিত ছিল ৬২ জন। এদের সবাই ছাত্রী।

অন্যদিকে কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজে একই শিক্ষাবর্ষের দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান শাখায় মোট শিক্ষার্থী ছিল ২৭৬ জন। এর মধ্যে মাত্র ৯ জন ৮০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত ছিল। ৭০ শতাংশের বেশি ক্লাসে উপস্থিত ছিল ২৬ জন। অর্ধেক ক্লাসেও হাজির হয়নি ৯৭ জন শিক্ষার্থী। এদের সবাই ছাত্র।

 

ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা কোথায় যায়?

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা, বিশেষভাবে ছাত্ররা বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা কিংবা নেতা ও কথিত বড় ভাই নামধারী কিশোর চক্র নিয়ন্ত্রণকারীদের সংস্পর্শে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রশ্রয়ে স্কুল-কলেজে না গিয়ে তাদের মধ্যে অপরাধ, হিরোইজম, আধিপত্য বিস্তার, পর্নোগ্রাফি, সাইবার অপরাধ, অবাধ যৌনতা ও গ্যাং কালচারে যুক্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। তাদের আচরণ ও চিন্তার জগত নেতিবাচকভাবে পাল্টে যাচ্ছে।

ক্লাস চলাকালীন অনেক শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পার্ক, বিনোদন স্পট, ‘আলো-আঁধারি’ রেস্তোঁরা, সিনেমা হল, মার্কেট ও শপিং মলে সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে। জন্মদিন কিংবা বিভিন্ন দিবস উদ্‌যাপনের নামে ‘বিকৃতি’র চর্চা চলছে। স্কাউট, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, লেখালেখি, বিতর্ক, নাটক, আবৃত্তি, খেলাধুলার মতো সৃজনশীল কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকছে শিক্ষার্থীদের বড় অংশ।

Advertisement

ক্লাস ফাঁকি দেওয়া এসব শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই আলাদা-আলাদাভাবে কিংবা সংঘবদ্ধ হয়ে সাইবার জগত তৈরি করে দিয়েছে। অনলাইনভিত্তিক ভিডিও গেমস, হরর মুভি, অনলাইনভিত্তিক জুয়ার অ্যাপসে আসক্ত হচ্ছে। কোচিং-প্রাইভেটের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে। সিগারেট, মাদকে আসক্ত হচ্ছে অনেকেই এবং টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িত হচ্ছে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের মাদক পরিবহণ কিংবা কেনাবেচায়ও ব্যবহার করা হচ্ছে।

উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সংঘটিত কয়েকটি কিশোর অপরাধের ঘটনায় নেওয়া আইনি পদক্ষেপ পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গ্যাং কালচারে যারা জড়িত হচ্ছে তাদের অনেকেই মূলত ব্রোকেন ফ্যামিলির সন্তান। অনেকের পরিবারে বিশৃঙ্খলা আছে কিংবা পারিবারিক বন্ধন সেভাবে সুদৃঢ় নয়। মূলত তারাই অভিভাবকের অগোচরে হিরোইজম দেখাতে গ্যাং কালচারে যুক্ত হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত না থাকায় শিক্ষকরাও শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।’

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এসএসসি কিংবা এইচএসসি পরীক্ষার্থী যারা, তারা তো ছোট বাচ্চা নয়। তাদের আমরা যে ক্লাসে রাখব সেই আইন কোথায়? কিসের ভিত্তিতে আমরা চাপ প্রয়োগ করব? অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, ক্লাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে উপস্থিতির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। কিন্তু তখন দেখা যায়, অভিভাবকরাই প্রতিষ্ঠানে এসে তাদের সন্তানদের জন্য তদবির করেন কিংবা সমস্যা তৈরি করেন। সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় আমরাও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।’

নগরীর কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে কলেজের পাশাপাশি কিছু কিছু স্কুলেও ছাত্র রাজনীতির সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ছাত্রনেতাদের পাল্লায় পড়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম কিংবা শিক্ষকদের পাত্তা না দেওয়ার একটি মনোভাব তৈরি হচ্ছে তাদের মধ্যে। এদের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইলে ছাত্রনেতারা বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। আবার শিক্ষার্থীদের অনেকে স্কুল-কলেজের আশপাশে পাড়াভিত্তিক গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়ছে, যাদের প্রশ্রয়দাতা হচ্ছেন স্থানীয় নেতা কিংবা কাউন্সিলররা।

সম্প্রতি সিএমপির বিশেষ শাখার তৈরি আরেকটি প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অন্তত পাঁচজন কাউন্সিলরের নাম এসেছে, যারা নিজ নিজ এলাকায় একাধিক কিশোর অপরাধী চক্র নিয়ন্ত্রণ করেন।

শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে সিএমপির পাঁচ সুপারিশ

নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট ক্লাসের ন্যূনতম ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত না থাকলে নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না রাখার সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যাদের উপস্থিতির হার এর নিচে থাকবে, তাদের অনুপস্থিতির কারণ শিক্ষাবোর্ডের বিবেচনার বিধান রাখা। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর অনুপস্থিতির বিষয়টি মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে অভিভাবককে জানানো এবং ধারাবাহিক মূল্যায়ন ক্লাসের ৭০ শতাংশে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করর সুপারিশ করা হয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) স্পিনা রাণী প্রামাণিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের পাশের দেশে কোনো শিক্ষার্থী যদি মোট ক্লাসের ৭৫ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত না থাকে, তাকে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হয় না। এখানেও উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হলে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে যত্রতত্র ঘোরাফেরা এবং সময় কাটানোর প্রবণতা কমবে। ন্যূনতম ৫-৬ ঘণ্টা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট পরিবেশে থাকতে বাধ্য হলে তাদের মানসিক বিকাশ ইতিবাচক হবে। সুপারিশসহ আমাদের প্রতিবেদন পুলিশ সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সদর দফতর সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো দফতরে পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে।’

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র নাথ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরাও চাই একটি সুনির্দিষ্ট আইন থাকুক। এতে স্কুল-কলেজে যাওয়ার প্রবণতা বাড়বে। প্রাইভেট-কোচিং সেন্টারে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। আইন হলে শিক্ষকদের ওপরও মনিটরিংয়ের বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে। অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা বাড়বে। সর্বোপরি শিক্ষার্থীরা স্কুলবান্ধব, কলেজবান্ধব হবে।’

এদিকে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নগরীতে কিশোর অপরাধীদের দৌরাত্ম্য নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। রোববার (২৪ মার্চ) সকালে তিনি সিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যান। এ সময় তিনি সাগর উপকূলে পতেঙ্গা থেকে কাট্টলী পর্যন্ত এলাকায় গড়ে তোলা হোটেল-রেস্তোঁরা অন্তত দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন।

Advertisement

জানতে চাইলে খোরশেদ আলম সুজন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছিনতাই, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, খুন, অপহরণ, যৌন হয়রানিসহ ভয়ংকর বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে আমাদের কিশোররা। সিএমপি কমিশনারও আমাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। স্কুল-কলেজে ক্লাস চলছে, অথচ ছাত্রছাত্রীরা সিআরবি শিরীষতলা, পতেঙ্গা-কাট্টলী সমুদ্র সৈকতে গিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। আমি নিজেও একজন অভিভাবক। এ চিত্র আমাকে পীড়া দেয়। এ জন্য দুপুর ২টা পর্যন্ত পতেঙ্গা থেকে কাট্টলী পর্যন্ত হোটেল-রেস্টুরেন্ট, যেগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা বসে আড্ডা দেয়, সেগুলো বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছি।’

(স্কুল ফাঁকি দেওয়া শিক্ষার্থী— সিএমপির জরিপ বলছে, এদের বড় একটি অংশ গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর অপরাধে)