মেঘনায় ঋণ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও

SHARE
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মো: ইব্রাহীম খলিল মোল্লা মেঘনা থেকে,সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪  : কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ‘অ্যাক্সেস কমিউনিটি ক্যাপিটাল ফান্ড’ নামে একটি কথিত এনজিও ঋণ দেওয়ার কথা বলে কয়েক শতাধিক গ্রাহকের সঞ্চয়ের প্রায় কোটি টাকার মতো আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Advertisement

সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ রবিবার সকালে উপজেলার আমিরাবাদ এলাকায় সেই এনজিওর কার্যালয়ে কাউকে না পেয়ে ভির জমান ঋণ নিতে আসা কয়েক গ্রামের গ্রাহকরা। পরে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ভবন মালিক প্রবাসী শাহ আলমের স্ত্রী সালমা আক্তার (৩৭) বাদি হয়ে ওইদিনই এনজিওর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মো. দেলোয়ার হোসেনসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে মেঘনা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাখা ব্যবস্থাপক পরিচয়দানকারী মো. দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি একসপ্তাহ পূর্বে ভবন মালিকের চার রুমের একটি ইউনিট মাসিক ভাড়া বাবদ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভবনটি ভাড়া নেন। রোববার সন্ধ্যায় ইফতারের পর ভবন মালিককে ভাড়া বাবদ অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তারা পালিয়ে যায়। সালমা আক্তার বলেন-  বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা ব্যতীত গত ২০ মার্চ বুধবার সকাল বেলা তারা ৪/৫টি টেবিল ও কিছু চেয়ার নিয়ে আমার বাড়িতে উঠে এবং তাদের অফিসের কার্যক্রম শুরু করে।

Advertisement

পরে বিভিন্ন এলাকার কয়েকজন নারী কর্মীসহ তার মেয়ে মীমকে নিয়োগ দিয়ে আমিরাবাদ এলাকার কয়েকজন গ্রাহকের কাছ থেকে সঞ্চয়ের টাকা লেনদেন করান। যদিও ভবন মালিক সালমা আক্তার ও তার মেয়ে মোসা. মীম আক্তার (২২) আমাদের এই প্রতিনিধির কাছে লেনদেনের পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন।
উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের ভুক্তভোগী মো. মাসুদ রানাসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এনজিওটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কয়েক শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকার মতো প্রবাসী ঋণ ও বিভিন্ন ঋণ দেওয়ার কথা বলে হাতিয়ে নিয়েছে। এদিকে শাখা ব্যবস্থাপক পরিচয়দানকারী মো. দেলোয়ার হোসেনের মোবাইল নাম্বারের একাধিকবার ফোন করলে তাকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, এ বিষয়ে থানায় একটি অভিযোগ আসছে। সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত প্রমাণ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে গ্রাহক পক্ষ কোর্টে মামলা করলে ভালো হয়।