রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতায় নতুন কর্মসূচি

SHARE

5258সুন্দরবনের রামপালে নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল ও বিদ্যুৎ সংকটের সমাধানে ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে ফের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

কর্মসূচির মধ্যে থাকছে- ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে প্রতিবাদ ও সমাবেশ, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় এবং ১০ থেকে ১৫ মার্চ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরবন অভিমুখে জনযাত্রা।

সংবাদ সম্মেলনে আনু মুহাম্মদ বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, প্রাণ-বৈচিত্রের অসাধারণ আধার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী প্রাকৃতিক রক্ষা বর্ম সুন্দরবন আছে বলে প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশের লাখো মানুষের জীবন বাঁচে।

তিনি বলেন, রামপাল প্রকল্প সামনে রেখে ওরিয়নের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিপইয়ার্ড, সাইলো, সিমেন্ট কারখানাসহ নানা বাণিজ্যিক ও দখলদারী অপতৎপরতা বাড়ছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট নিরসনের নামে দেশি-বিদেশি গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে সরকার বারবার দেশের জন্য সর্বনাশা পথ গ্রহণ করেছে- এমন অভিযোগ তুলে আনু মুহাম্মদ আরো বলেন, রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়াও আছে ফুলবাড়ি-বড়পুকুরিয়ার উন্মুক্ত খনির চক্রান্ত, বঙ্গোপসাগরের গ্যাস ব্লক একতরফা সুবিধা দিয়ে বিদেশি কোম্পানির কাছে ইজারা, কুইক রেন্টালের নামে ১৪ থেকে ১৭ টাকা কিংবা তারও বেশি দরে বিদ্যুৎ ক্রয়, পারমাণবিক বর্জ্যের ভয়াবহ ঝুঁকির নিষ্পত্তি না করে রূপপুরে বিপুল ঋণ ও বিদেশি কোম্পানিনির্ভর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হাতে নেয়া।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ভারতীয় কোম্পানি (এনটিপিসি) নিজ দেশের আইন ভঙ্গ করে এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সুন্দরবনের ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাফারজোন বিবেচনায় ৪ কিলোমিটারের মধ্যে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এনটিপিসি এ ধরনের কোনো প্রকল্প ভারতে করতে সক্ষম হতো না, কেননা ভারতের ‘ইআইএ গাইডলাইন ২০১০’ অনুসারে বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা যায় না। ভারতে পরিবেশ আইন অনুসারে এনটিপিসির একাধিক প্রকল্প বাতিল করতে হয়েছে।