মহাসচিবকে জামিন দেয় না, আর বিএনপি বসে আঙুল চুষে: আখতারুজ্জামান (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমন পরিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীরা ‘বসে বসে আঙুল চুষছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান।

Advertisement

শুক্রবার বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমার মহাসচিবকে (মির্জা ফখরুল) হাইকোর্ট থেকে জামিন দিলো না। আর বিএনপি নেতারা বসে বসে আঙুল চুষছেন। কেনো আজকে হরতাল দেওয়া হলো না, কীসের দল করেন আপনারা। এই শূন্য নেতৃত্ব দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি, ফাকাঁ বুলি দিয়ে আর কতদিন চলবে বিএনপি।’

Advertisement

বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘দল দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে, তাহলে বিএনপির সিলটা আমার ব্যবহার করাটাই অন্যায় ছিল। বিএনপির সিলটা যে আমি এতদিন ব্যবহার করেছি, এটাই তো অন্যায় করেছি। আমাকে তো ন্যূনতম সদস্য হিসেবেও রাখেনি। একটা গ্রামকে আমাকে অর্গানাইজ করতে দেয়নি। এখন আমি স্বাধীন, স্বতন্ত্র হয়ে গেছি।’

আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমি বিএনপির বর্তমান কার্যকালাপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। আমি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছি। উনি দলটি যেভাবে চালাচ্ছেন সেভাবে আমাদের দলের সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী আজ গৃহহারা, পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের মহাসচিবকে উচ্চ আদালত জামিন দেয় না। এর চেয়ে নির্মমতা কী থাকতে পারে। এর দায় দায়িত্ব কার। কেন এমন একটা মামলায় আমরা জড়ালাম, যেখানে উচ্চ আদালতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বাড়িতে নেতাকর্মী হামলা করবে। কেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ নাই আমাদের কর্মীদের উপরে, কী রাজনীতি করি আমরা।’

Advertisement

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে দলীয় শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অভিযোগে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব) আখতারুজ্জামান রঞ্জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভাইস চেয়ারম্যান ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি পদে থাকা আখতারুজ্জামান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বিএনপি প্রার্থী ছিলেন। তিনি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদের কাছে হেরে যান।