রাকিবকে পাঠানো তামিমার তালাকের নোটিশের রসিদ ডাক বিভাগের নয় (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), আইন আদালত প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩ : তালাক না নিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ।

Advertisement

বুধবার (১১ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করা হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

তামিমা তার আগের স্বামী রাকিবকে ডাক বিভাগের মাধ্যমে যে তালাকের নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সে রসিদ ডাক বিভাগের নয়, এমন একটি লিখিত কাগজ দাখিল করেছেন ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। এটি তিনি তার সাক্ষ্যতেও বলেছেন।

রাকিবের আইনজীবী ইশরাত হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে মামলা করেন। সেদিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এরপর শুনানি শেষে মামলার অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

Advertisement

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় কেবিন ক্রু। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। এরপর ডিভোর্স পেপার ছাড়াই বিয়ে করার অভিযোগে নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন রাকিব।

মামলার অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় নাসিরকে বিয়ে করেন তামিমা, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নাসির নিজের কাছে নিয়ে গেছেন। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট বছর বয়সী শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরম মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

Advertisement

এরপর ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর নাসির হোসেন ও তামিমা সুলতানা এবং তামিমার মা সুমি আক্তারকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।