দলের নিবন্ধন না পেয়ে যা বললেন নুর (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩ : নতুন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন পাওয়ার প্রক্রিয়া থেকে ছিটকে পড়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পতন ঘটিয়েই আগামী নির্বাচনের আগে নিবন্ধন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।

Advertisement

নিবন্ধনের জন্য গণঅধিকার পরিষদ চূড়ান্ত বাছাইয়ের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারার সিদ্ধান্ত জানার পর রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। নুর বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে নিবন্ধ আদায় করতে হবে।

নিবন্ধন পেতে আইনের কাছে যাবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারের নিয়ন্ত্রিত ক্যাঙ্গারো কোর্টে মানুষ ন্যায়বিচার পায় না। ওখানে মানুষ অবিচারের শিকার হয়। রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন করে এবং নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে জনগণকে সম্পৃক্ত করেই দাবি আদায়ের চেষ্টা করব।

নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন এজেন্সির দ্বারা প্রভাবিত এমন অভিযোগ করে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি জানান, দলের সাংগঠনিক বিষয়ে অবহিত করতে সকালেই নির্বাচন কমিশনে হাজির হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ।

নুর বলেন, সিইসির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তার কথাবার্তায় একটু অসহায়ত্বের ছাপ ফুটে উঠেছে। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ভালো কিছু করার চিন্তা করলেও এই পরিবেশ-পরিস্থিতির জন্য করতে পারছেন না। তার হাত-পা বাঁধা। উনার কথাবার্তা ও কার্যক্রমে বুঝতে পেরেছি।

নিবন্ধনের জন্য চূড়ান্ত করা দুটি দলের অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর বলেন, গুগলে সার্চ দিয়ে দেখেন, এই দুই দলের কার্যক্রম সম্পর্কে মূল ধারার গণমাধ্যমে কোনো সংবাদ পান কি না। এই দুই দলের কার্যক্রম কি কেউ কখনও দেখে?

Advertisement

তিনি বলে, এই দুই দল সরকার বানিয়েছে, ১৪ দল থেকে যেন আগামীতে ২০ দল হতে এবং বিএনপিকে টেক্কা দিতে পারে। তাই এজেন্সির পরামর্শে নির্বাচন কমিশন এ দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে।

নিবন্ধন না পেতে দলীয় কোন্দল কোনো প্রভাব ফেলেনি দাবি করে নুর বলেন, সব দলের কিছু নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম থাকে এবং আমরা সেটা কমিশনকে সাংগঠনিকভাবে অবহিত করেছি। যেসব দল মাঠে অ্যাকটিভ আছে, সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় আছে, তাদের নিবন্ধন দেয় নাই।

তিনি বলেন, নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনের শর্ত ছিল ২২টি জেলায় কমিটি থাকতে হবে। আমাদের অলরেডি ৫৩টি জেলায় কমিটি আছে। ইসির শর্ত ছিল ১০০ উপজেলা কমিটি, কিন্তু আমাদের ২০০’র বেশি উপজেলা কমিটি আছে। তাহলে আমাদের দুর্বলতা কোথায়?

নুরুল হক নুর বলেন, দলগুলোর নিবন্ধনে যাচাই-বাছাই কমিটির আহবায়ক একজন উপসচিব ও অতিরিক্ত জেলা জজ, যিনি আইনকানুন সম্পর্কে ভালো বোঝেন। তার সঙ্গে কথা বলে দেখেন, তিনি তদন্ত প্রতিবেদন কী দিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের কপিও আমাদের হাতে আছে।

Advertisement

তিনি বলেন, তিনি লিখেছেন গণঅধিকার কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তারা নিবন্ধনের যোগ্য, এটা তদন্ত কমিটি লিখেছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশন, সরকার ও এজেন্সির পরামর্শে আমরা সরকারবিরোধী। এজন্য তারা আমাদের নিবন্ধন দেয়নি।