ইবিতে হলের গ্রিল কেটে কম্পিউটার চুরি!

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ,শনিবার, ০৮ জুলাই ২০২৩ : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ২৪ জুন থেকে ছুটিতে ছিল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছুটি শেষ হওয়ায় শুক্রবার (৭ জুলাই) শিক্ষার্থীরা হলে ফিরতে শুরু করেছেন। আগামীকাল শনিবার থেকে একাডেমিক ও দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হবে।

Advertisement

এদিকে শুক্রবার (৭ জুলাই) হল খোলার প্রথম দিনেই শহীদ জিয়াউর রহমান হলে চুরির অভযোগ উঠেছে। বিকেল ৫টার দিকে হলের ১১৭ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম কক্ষে প্রবেশের পর এই অভিযোগ করেছেন। ব্যালকনির গ্রিল কেটে তার কক্ষে থাকা ৪০ হাজার টাকা সমমূল্যের ডেস্কটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলামের ভাষ্য, ক্যাম্পাসে এসে বিকেল ৫টার দিকে তিনি কক্ষে প্রবেশের জন্য তালা খুলেন। তালা খুলে দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে দেখনে পান দরজার ছিটকিনি ভিতর থেকে আটকানো। পরে অনেক চেষ্টায় দরজা খুলতে ব্যর্থ হলে তিনি আনসার সদস্যদের সহায়তায় হলের পিছন দিকে গিয়ে ব্যালকনির দুইটি গ্রিল কাটা দেখতে পান। একইসঙ্গে পিছনের দিকের ব্যালকনির দরজা খোলা পান তারা। জানালার ভাঙ্গা অংশ দিয়ে দরজা খোলা হতে পারে ধারণা ভূক্তভোগী ও আনসার সদস্যদের।

ভুক্তভোগী তৌহিদুল আরও জানান, কক্ষে ৪০ হাজার টাকা সমমূল্যের ডেস্কটপ কম্পিউটার চুরি হয়েছে। একইসঙ্গে কক্ষের বিভিন্ন জিনিসপত্র অগোছালো দেখতে পান ঐ শিক্ষার্থী। এছাড়াও ওই কক্ষে আরেক আবাসিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর ম্যাগনিফাইয়িং মেশিন ভাঙ্গা অবস্থায় দেখা গেছে।

Advertisement

ওই শিক্ষার্থী বলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় ভালোভাবেই দরজা জানালা আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু জানালার একটা কাচ ভাঙ্গা ছিল। গ্রিল কেটে ওই জায়গা দিয়ে পিছনের দরজা খোলা যায়। আমার একার ৪০ হাজার টাকা দামের কম্পিউটার চুরি হয়েছে। বাকি দুই রুমমেট এলে কি কি ক্ষতি হয়েছে বিস্তারিত জানা যাবে। এই অবস্থা দেখে আমি প্রভোস্ট স্যারকে বিষয়টি জানালে তারাও ঘটনাস্থলে এসে দেখেছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, চুরির বিষয়টি বিকেলে জেনেছি। ছুটির দিনই প্রভোস্টকে বলেছিলাম আপনার হলের পিছনে তিনটা রুমে সিটকিনি মারা নেই। গ্রিলগুলোও দূর্বল। তাছাড়া হলটির পিছন সাইডে লোক যাওয়ার মত কোনো পরিবেশ নেই। ওইদিকে সিসি ক্যামেরাও ঠিক নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শেখ এবিএম জাকির হোসেন বলেন, আমি ইতোমধ্যে ট্রেজারার, প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। দক্ষিণ পাশে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা নাই। ওদিকে শাপের ভয়ও আছে। কালকে অফিস খুললে হল বডি নিয়ে বসবো। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ছেলেটার কি কি ক্ষতি হয়েছে জানতে হবে।

Advertisement