শিল্পীরা অন্যদের মতো অপরাধ-দুর্নীতিতে জড়ায় না : সিদ্দিক

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩ : ঢাকা-১৭ আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের হয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রচারণায় বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক। বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়েছে আসনটি। এ নায়কের মৃত্যুর আগে এবং পরবর্তী সময়ে আসনটি থেকে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় অনেকটা কটাক্ষ এবং রোষানলে পড়তে হয় সিদ্দিককে। সম্প্রতি রাজনৈতিক সংক্রান্ত ইস্যুতে সিদ্দিকের সঙ্গে কথা বলেছে চ্যানেল 24 অনলাইন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাহজাদা সেলিম রেজা—

Advertisement

✪ সংসদ সদস্য হতে চান কেন?
রাজনীতি হচ্ছে আমার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড। আমার ফ্যামিলি থেকে কেউ শিল্পী হয়নি। কিন্তু আমি শিল্পী সত্ত্বাকে ধারণ করে একজন শিল্পী হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই দেখেছি বাবাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে, সাহায্য-সহযোগিতা করতে। সেই শিক্ষাটা আমার ভেতরে রয়েছে। আমিও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে নিজের এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। উন্নয়নমূলক অনেক কাজ করেছি। এলাকায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ আমার নামে। যে স্কুলে পড়ালেখা করেছি সেখানে আমার নামে ছাত্রাবাস করেছি। এমন অনেক মসজিদ-মাদরাসায় উন্নয়ন করেছি। মানুষের স্বভাব তো নিজের আলোয় নিজে আলোকিত হওয়া। কিন্তু আমি চাই আমার আলোয় সবাইকে নিয়ে আলোকিত হই। সামর্থ্য অনুযায়ী সবাইকে আলোকিত করার সেই স্বপ্ন দেখি। নিজের জন্য না, মানুষের জন্য সংসদ সদস্য হতে চাই।

✪ আপনার পরিকল্পনা কী?
পরিকল্পনায় অনেক কিছুই রয়েছে। সবই তো এখনই বলা যাবে না। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে ঢাকা-১৭ আসনের নমিনেশন দেন, তখন আমার জীবনের প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা ও যে মিশন-ভিশনগুলো নিয়ে রাখছি, সেসব অনুযায়ী কাজ করব। আমি বিশ্বের ২৮টি দেশ ভ্রমণ করেছি। এসব দেশ শুধু ঘোরার জন্য যাইনি, ঘুরতে গেলেও জ্ঞান অর্জন, সেখানকার শহরের উন্নয়নসহ নানাদি কাজ পর্যবেক্ষণ করেছি। সেসব অভিজ্ঞতা থেকে শহরকে কীভাবে সুন্দর করা যায়, মানুষের কল্যাণে কীভাবে পাশে দাঁড়ানো যায়, মানুষ কীভাবে ভালো থাকবে—তা নিয়ে কাজ করব। আমি তো ২৮টি দেশের সিস্টেমকে ধারণ করেছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে সুযোগ দেন তাহলে সেই অনুযায়ী কাজ করব, ইনশাআল্লাহ।

Advertisement

✪ উন্নয়ন করার জন্য সংসদ সদস্যই কেন হতে হবে?
ব্যক্তির জায়গা থেকে আমরা যতটুকু করতে পারি, আর একটি প্লাটফর্ম থেকে উন্নয়ন করার মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে যখন উন্নয়ন হয় তখন সেটা হাজারোভাগ পরিপূর্ণ হয়। আর ব্যক্তি করলে হয় দশ ভাগ। ব্যক্তি তার নিজ জায়গা থেকে করে। সংসদ সদস্য যখন উন্নয়ন করেন, তখন তিনি সরকার ও জনগণের টাকায় করেন। তখন একজন সংসদ সদস্য দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে জনগণের কাজটি ভালোভাবে করতে পারেন।

সিদ্দিকুর রহমান - সংগৃহীত ছবি

সিদ্দিকুর রহমান – সংগৃহীত ছবি

✪ চিত্রনায়ক ফারুকের অবাস্তবায়িত স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে চান, বিস্তারিত বলবেন।
২০১৮ সালে আমি যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি, সেই সময় আমি ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করেছি, কথা বলেছি। আমি ঢাকা-১৭ আসনে ১৪ বছর ধরে বসবাস করছি। এ আসন তো আমারও এলাকা। এ আসন নিয়ে ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে অসংখ্যবার কথা হয়েছে আমার। একজন শিল্পী হিসেবে এ এলাকাকে কীভাবে দেখতে চান তিনি, এসব নিয়েও কথা হয়েছে আমাদের। শিল্পী মানুষের স্বপ্নগেুলো শৈল্পিকভাবে থাকে। সেই স্বপ্নগুলোর অধিকাংশই দেখা যায় প্রতিফলন হয়নি। আমি চাই, একজন শিল্পীর রিপ্লেসমেন্ট যদি একজন শিল্পী হয়, তাহলে অবশ্যই সেই শিল্পী শৈল্পিকভাবে কাজগুলো পরিপূর্ণ করবে। সবচেয়ে বড় কথা একজন শিল্পীর ধারণা, ভাবনাগুলো কখনো সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলে না, মিলবেও না। আমি যদি এ আসনে সেই সুযোগ পাই তাহলে ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়ন করব।

✪ তিনি বেঁচে থাকতে তার সঙ্গে এ আসনে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে আপনার?
না, তা হয়নি। তবে আমি চেয়েছিলাম তিনি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন। তার সঙ্গে কথা বলে, তার দোয়া নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামব। অনেকে যদিও নানাভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে আমরা প্রচারণা নিয়ে। ফারুক ভাই বেঁচে থাকা সময় থেকেই আমি এই আসনে নির্বাচনী প্রচারণা করছি। যদিও তিনি আমাদের মাঝে এসেছেন, তবে প্রাণ নিয়ে নয়। এটা আমাদের কষ্ট। আমি চাই মহান আল্লাহর কাছে ভালো থাকুক তিনি। তার স্বপ্নগুলো যদি আমরা শিল্পীরা কিছুটাও বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমার ধর্ম থেকে নয় নয়, তার (চিত্রনায়ক ফারুক) আত্মা শান্তি পাবে বেশি।

ছেলের সঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান - সংগৃহীত ছবি

ছেলের সঙ্গে সিদ্দিকুর রহমান – সংগৃহীত ছবি

✪ তার মৃত্যুর পর পরিবারের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে?
ফারুক ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে অনেক। কাজের কারণে ঢাকার বাইরে ছিলাম। আমাকে ফোন করা হয়েছিল, দেখা করতে পারিনি। তবে আমি তার জন্য দোয়া করি। এটা এ জন্য নয় যে, সিদ্দিকুর রহমান ফারুক ভাইয়ের রিপ্লেসমেন্ট হচ্ছে এ কারণে। আমি না থাকলেও কেউ না কেউ আসনটিতে নির্বাচন করবে, এটা তো ঠিক। আমি মনে করি সেই দিক থেকে একজন শিল্পীর রিপ্লেসমেন্ট যদি একজন শিল্পী হয়, তাহলে সারাদেশের মানুষের খুশি হওয়া উচিত।

Advertisement

➨ আরও যোগ করেন, নির্বাচনের ব্যাপারটি ফারুক ভাইয়ের পরিবারের ওপর নির্ভর করছে না। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ওপর। এমনটাও হতে পারে আমাকে না দিয়ে ফারুক ভাইয়ের পরিবারের কাউকে দিতে পারেন তিনি। উত্তরাধিকার বলতে একটা কথা রয়েছে। আমি কেন সেই জায়গা নষ্ট করতে যাব। আমি অনেক চিন্তা করে কাজ করি। এ কারণে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোনো বিষয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কখনো বসা হয়নি। এটা উচিতও না। আমি কেন লোভী কিংবা স্বার্থপর মানুষের পরিচয় দিতে যাব? যদি আমার কাজ, মিশন-ভিশন এবং ব্যক্তিত্বের কারণে আমাকে প্রধানমন্ত্রী নমিনেশন দেন, তাহলে ঠিক আছে। আমি কাউকে নির্ভর করে নির্বাচন করতে চাই না। নিজের যোগ্যতা নিজেকেই অর্জন করতে হবে।

সিদ্দিকুর রহমান - সংগৃহীত ছবি

সিদ্দিকুর রহমান – সংগৃহীত ছবি

✪ ঢাকা-১৭ আসনে কয়েকজন অন্য শিল্পীদেরও নাম এসেছে…
একেক জন একেক জনের নাম বলতেই পারে। বলা এক বিষয়, করা আরেক রকম। কাউকে তো আমরা ঢাকা-১৭ আসনে দেখিওনি। এ আসনে আমি সিদ্দিকুর রহমান ছাড়া শিল্পীদের কাউকে আর দেখিনি। পোস্টার-ফেস্টুনসহ কর্মীরা নিয়মিত কাজ করছে আমার। স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র, মুক্ত স্বাধীনতা, কেউ কারও নাম বলতেই পারে। সিনিয়র ভাইরা তাদের মত প্রকাশ করেছে। এটা করতেই পারে। আর এখানে যদি আমি ছাড়াও অন্য কোনো শিল্পী আসে, তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি হব আমি। এই আসনে একজন শিল্পীকেই দেখতে চাই আমি। তবে পরীক্ষিত একজন শিল্পীকে আসতে হবে, হঠাৎ করেই আসা যাবে না বলে মনে করি। কারণ, মানুষ মুখে এক কথা বলে, করে আরেক রকম।

✪ চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ বলেছেন আসনটিতে অসম্পূর্ণ কিছু নেই। আপনার মতামত কী?
বাপ্পারাজ ভাই তার জায়গা থেকে এটা বলতেই পারেন। এটা তার মতামত, এর সঙ্গে আমিও একমত। এর কারণ হচ্ছে তিনি আমার শিল্পী পরিবারের সদস্য। তার বাবা শ্রদ্ধেয় নায়ক রাজ রাজ্জাক নিজেই ছিলেন একটা ইন্ডাস্ট্রি। তার সন্তান যখন এ কথা বলে, তখন সেটা তার জায়গা থেকে অবশ্যই ঠিক আছে। কিন্তু সবার মিশন-ভিশন এক থাকে না। তাকে যদি (বাপ্পারাজ) হাজারও কোটি টাকাও দেয়া হয় তিনি কিন্তু নির্বাচন করবে না। তাদের মানসিকতা এমন না। কিন্তু যাদের মানসিকতা এমন, তারা এসব কাজের জন্য পাগল। যেমন সিদ্দিকুর রহমান। তার মানসিকতা হচ্ছে মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

সিদ্দিকুর রহমান - সংগৃহীত ছবি

সিদ্দিকুর রহমান – সংগৃহীত ছবি

✪ শিল্পীর রিপ্লেসমেন্ট শিল্পী—আপনাকে না দিয়ে যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়…
শিল্পীর রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে একজন শিল্পীকে যদি ঢাকা-১৭ আসনে মনোনয়ন দেয়া তাতে আমি অনেক খুশি হব। সেই শিল্পী হিসেবে যে আমাকেই দিতে হবে, এমনটা নয়। সেটা অন্য যেকোনো শিল্পী হতে পারে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে দিতে পারেন। তবে এ আসনে সত্যিকারের, পরীক্ষিত ও ভালো মনের একজন শিল্পী মনোনয়ন পেলে আমার থেকে বোধহয় কেউ বেশি খুশি হবেন না।

✪ একজন শিল্পীকেই কেন দিতে হবে?
একজন সাধারণ মানুষ ও একজন রাজনীতিবিদের মন এবং একজন শিল্পীর মন কখনোই একরকম নয়। শিল্পীরা অনেক ভেবে কাজ করেন। শিল্পীদের মধ্যে এমন কেউ নেই যাকে অপরাধী হিসেবে দেখাতে পারবেন। বলা যায় দীর্ঘদিন জেল খেটে এসে আবার শিল্পীত্ব গ্রহণ করেছে কিংবা কোনো মামলার আসামি বা কোনো দুর্নীতি করে বা বড় কোনো অঘটন ঘটিয়ে তারপর শিল্পী হয়েছে। এমনটা হয় না। এ কারণে আমি শিল্পীদের কথা বলি, আমি নিজেও শিল্পী, শিল্পীদের মন-মানসিকতা সম্পর্কে জানি।

সিদ্দিকুর রহমান - সংগৃহীত ছবি

সিদ্দিকুর রহমান – সংগৃহীত ছবি

✪ তাহলে শিল্পীরা রাজনীতিতে আসলে কী অপরাধ-দুর্নীতিতে জড়ায় না?
এর পরিমাণ কম থাকে। অসংখ্য পরিমাণে কম থাকে। গতানুগতিক পরিসংখ্যান দেখলে বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশে সেরকম কোনো শিল্পী নেই যিনি রোলস রয়েস, রেঞ্জ রোভারে চলাফেরা করেন। এমন বড় বড় স্বপ্ন শিল্পীরা কখনোই দেখে না। বড় বড় স্বপ্ন দেখার সাহসও করে না। শিল্পীরা সবসময় সীমিত অর্থে জীবন পরিচালনার চেষ্টা করে। তারা এটা চিন্তা করে—আমি এমন কিছু করব না যাতে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট হয়। শিল্পীরা ব্যক্তিত্বে বিশ্বাসী। সিদ্দিকুর রহমানকে অভিনেতা হিসেবে সারাদেশের মানুষ চেনেন। সেখানে ব্যক্তি সিদ্দিকুর রহমান কখনোই চিন্তা করবে না তার কাছে এমপি পদ বড়। তিনি ভাববেন নাট্যকর-অভিনেতা হিসেবে তাকে সবাই চেনেন, ভালোবাসেন; অতএব এমপি পরিচয়ে পরিচিত হওয়ার কিছু নেই। শিল্পীরা এমনটা ভেবে ব্যক্তিত্ব রক্ষায় ব্যক্তিত্ব কলুষিত না করার ভয়ে অবৈধ কাজ করবে না। এ কারণে বলে থাকি একজন সাধারণ মানুষ থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া এবং শিল্পী থেকে রাজনীতিবিদ হওয়ার মধ্যে পার্থক্য এতটুকু।

✪ সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনরা আপনাকে অভিনয়েই থাকার কথা বলছেন…
আমাকে অনেক মানুষ কমেন্টে, ফোনে বলে, আমি যেন রাজনীতিতে না জড়াই। এর কারণ একটাই, এই ভালো মানুষগুলো এখানে (রাজনীতি) যাবে কেন। কিন্তু আমরা প্রমাণ করতে চাই, যে জায়গায় যেতে চাচ্ছি সেটাও ভালো জায়গা, যে যাবে সেও ভালো মানুষ। এই চ্যালেঞ্জের জায়গা থেকে জাতীয় সংসদে যেতে চাই।

সিদ্দিকুর রহমান - সংগৃহীত ছবি

সিদ্দিকুর রহমান – সংগৃহীত ছবি

✪ ফারুকের মৃত্যুর দিনও আপনি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন, যা নেতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন অনেকে।
সেটি ভুল। ফুটেজ দেখলে বুঝতে পারবেন সেদিন প্রথম আমি নির্বাচন নিয়ে কথা বলিনি। যদি সেদিনই প্রথম কথা বলতাম তাহলে নেতিবাচক হিসেবে নিলে সমর্থন করতাম। কিন্তু আমি অনেক আগে থেকেই ওই আসনে নির্বাচনী প্রচারণা করে আসছি। ফারুক ভাই যখন অসুস্থ, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করছিলেন তখনও নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছি। তার মৃত্যুর দিন আমি বলিনি নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আসছি। ফারুক ভাইয়ের মরদেহ রিসিভ করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। বলেছিলাম, ‘আমরা চেয়েছিলাম ফারুক ভাই আমাদের মাঝে হেঁটে হেঁটে আসবেন। কিন্তু তিনি আসলেন মরদেহ হয়ে।’ এরপর মরদেহ কোথায় থেকে কোথায় যাবে, এসব শিডিউল নিয়ে কথা বলেছি। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা আমাকে প্রশ্ন করেন, আপনি তো নির্বাচন করবেন…। এ প্রশ্ন করায় আমি বলেছিলাম, আজকের দিন অন্তত এ কথা না বলি। শুধু বলেছিলাম শিল্পীর রিপ্লেসমেন্ট যদি শিল্পী হয় তাহলে ফারুক ভাইয়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবে এই সিদ্দিকুর রহমান। আমি কখনো বলিনি বা বোঝাতে চাইনি, ফারুক ভাইকে ভর করে এ আসনে নির্বাচন করতে চাচ্ছি।

✪ মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে কতটুকু আশাবাদী আপনি?
আমার জায়গা থেকে আমি শতভাগ আশাবাদী। কিন্তু এই শতভাগটা নির্ভর করছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মনোনয়ন বোর্ড ও অন্যান্য নেতাদের ওপর। যদি মনোনয়ন পাই তাহলে আমি যে শতভাগ আশাবাদী ছিলাম, কর্তৃপক্ষও আমাকে যোগ্য মনে করেছে। যদি মনোনয়ন বোর্ড থেকে আমাকে না দেয়া হয়, তাহলে প্রমাণ হবে আমি পরিমাণের থেকে বেশি আশাব্যক্ত করেছিলাম।