বান্ধবীকে উত্ত্যক্তের জেরেই চট্টগ্রামে জোড়া খুন, মূল হোতা গ্রেপ্তার (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রামের পাহাড়তলী প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৮ মে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার নগরের হালিশহর এলাকার একটি বাসায় ছদ্মবেশে অবস্থানকালে জোড়া খুন মামলায় মূল পরিকল্পনাকারী মো. ফয়সালকে আটক করেছে র‌্যাব। ফয়সাল নোয়াখালীর কবিরহাট এলাকার নূরনবীর ছেলে।

Advertisement

র‌্যাব জানায়, হত্যায় অংশ নেয়া সবার বয়স ১৬ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। পাহাড়তলীর কথিত বড় ভাই ইলিয়াস মিঠুর অনুসারী এ কিশোর ও তরুণরা একসঙ্গে চলাফেরা করত। ইলিয়াসকে সবাই ‘বড় ভাই’ বলে সম্বোধন করত।

Advertisement

র‍্যাব আরও জানায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মাসুমের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম শিহাব তার বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যান। ওই সময় শিহাবকে উদ্দেশ করে ফয়সাল ও রবিউল বলেন, ওই মেয়ের সঙ্গে তোকে মানায়নি। এরপর মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করা শুরু করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সামান্য মারামারিও হয়। এতে ফয়সাল ও রবিউল আঘাত পান।

Advertisement

বিষয়টি তাদের ‘বড় ভাই’ ইলিয়াছ মিঠুকে জানান। রাত ৮টার দিকে শিহাবকে ফোন করে ঘটনা মীমাংসার জন্য ইলিয়াসের অফিসে আসতে বলা হয়। ইলিয়াসের কথামত শিহাব তার বন্ধু মাসুম, সজীব, ফাহিম, রোকন, রজিন, তুহীন, মেহেদী হাসান, ইউসুফ ও প্রান্তসহ ইলিয়াসের অফিসে যান। সেখানে আগে থেকেই ইলিয়াসের নির্দেশে ও ফয়সালের পূর্বপরিকল্পনায় রবিউলসহ ২০/২৫ জন কিশোর দেশীয় অস্ত্রে প্রস্তুত থাকে। শিহাব ও তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা সেটি জানতেন না।

Advertisement

মীমাংসা করার কথা বলে দু’পক্ষকে ডেকে নিয়ে রাত ৮টায় বৈঠকে বসেন ইলিয়াস। বৈঠকের একপর্যায়ে ইলিয়াসের সামনেই মাসুম ও সজীবকে বেধড়ক পিটুনি ও ছুরিকাঘাত করে ফয়সাল, রনি, বাবু ও আকাশ। এ সময় আহত মাসুম ও সজীবের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ইলিয়াস, ফয়সাল এবং রবিউলসহ অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মাসুম ও সজীবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Advertisement

এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় নিহত সজীবের বড় ভাই বাদী হয়ে ৯ মে পাহাড়তলী থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের বিশেষ অভিযানে ইলিয়াস, রবিউলসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক। এর মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, যেখানে তারা হত্যাকাণ্ডে ফয়সালের পূর্বপরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।