কামাল আতাতুর্ক থেকে ভাটারা হবে পাতাল রেল

SHARE

patal_railঢাকা: রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ সড়ক উত্তর-দক্ষিণ কেন্দ্রিক। এজন্য পূর্ব-পশ্চিমের যোগাযোগ বাড়াতে নতুন কৌশলগত পরিকল্পনায় এগুচ্ছে সরকার।  আর যানজট সমস্যা এড়াতে শিগগিরই স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুমোদন করতে যাচ্ছে মন্ত্রিসভা।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৫টি মেট্রোরেল রুট এবং ২টি বিআরটি বা বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট রুট এর প্রস্তাব। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরেই ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বদলে দেয়ার এমন কিছু প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাশ হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

প্রস্তাবিত মেট্রোরেল রুট-৫ হবে গাবতলী থেকে মিরপুর-১, মিরপুর-১৪ থেকে কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ-মাদানী এভিনিউ-নতুন বাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত। যার অর্ধেক রাস্তা হবে মাটির নিচ দিয়ে (পাতাল রেল)।

ইতোমধ্যে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা পাতাল রেল নির্মাণের ঘোষণাও দিয়েছেন।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় দেখা গেছে, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে এসব পরিকল্পনার মধ্যে মেট্রোরেলের ৫টি রুট, ২টি বিআরটি রুট ছাড়াও ঢাকা মহানগরীকে ঘিরে বৃত্তাকার ৩টি রিং রোড এবং ৬টি এক্সপ্রেসওয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।

এগুলোর মধ্যে পাঁচটি মেট্রোরেল বাস্তবায়নেই প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকা দরকার হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার জাপান সফরকালে সেদেশের সরকার দুটি মেট্রোরেলের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে আতাতুর্ক এভিনিউ-মাদানী এভিনিউ-নতুন বাজার হয়ে ভাটারা পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী জাইকা ছাড়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

ওবায়দুল কাদের আরও জানিয়েছেন, ঢাকার প্রথম মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন ৬) দৃশ্যমান কাজ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে । উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত রাজধানীর অধিকাংশ এলাকা ছুঁয়ে যাবে এই মেট্রোরেল।

আগামী বছরের শুরুতেই এর দৃশ্যমান কাজ দেখতে পাবেন নগরবাসী- এমন আশাবাদ সেতুমন্ত্রীর।

বিআরটি লাইনের গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত একটির টেন্ডার হয়ে যাচ্ছে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে এর কাজ শুরু হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (আরএসটিপি) অনুয়াযী, মেট্রোরেল রুট-১ হবে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে কুড়িল-প্রগতি সরণি-রামপুরা হয়ে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত।

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী জানান, দেরিতে হলেও এসটিপি এখন চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে এটিও ফাইনাল স্টেজ’-এ এসে গেছে।

আগামী ডিসেম্বরে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এসটিপি তোলা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর ফেব্রুয়ারি মার্চের মধ্যে তা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী।