মেসির পায়ে প্লাটিনামের বুট

SHARE

1740গ্রহের সেরা ফুটবলার। রেকর্ড পাঁচবার বিশ্বসেরার মুকুট ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতলেন তিনি। এমন একজনের পেছনেই তো ছুটতে থাকার কথা স্পন্সরদের। বিখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এডিডাসই বা বাদ যাবে কেন! তারা যে সবার আগেই দখল করে নিতে চাইবে মেসির মত ফুটবলারের পৃষ্ঠপোষকতার স্বত্ত্ব। সে লক্ষ্যে মেসিকেও তো খুশি করা চাই। সুতরাং, তাকে দিতে হবে একেবারে ভিন্নরকমের কোন উপহার।

কী হতে পারে সেই উপহার! না, যেন তেন, সাধারণ কিছু নয়। একেবারে প্লাটিনামের তৈরী একজোড়া বুট নিয়ে মেসির দ্বারে হাজির এডিডাস। মেসিকে উপহার দিলেন বুটজোড়া। বিশ্বের সবচেয়ে দামি পদার্থ প্লাটিনাম দিয়ে এই প্রথম তৈরী করা হলো কোন ফুটবলারের বুট এবং সেটা ঠাঁই পেয়ে গেলো মেসির পায়ে।

messi
বুট জোড়ার পেছনের অংশে পাঁচটি ছোট ছাট বৃত্ত। চারটি সোনালি রংয়ের। অন্যটি রূপার রং। চারটি সোনালি রংয়ের বৃত্ত দিয়ে বোঝানো হলো টানা চারবার ব্যালন ডি’অর জয়ের নজিরকে। আর রূপালি রংটা দিয়ে বোঝানো হলো পঞ্চমবার ব্যালন ডি’অর জয়কে। একই সঙ্গে বুট জোড়ার নীচে স্প্যানিশ ভাষায় একটি স্লোগান লেখা। যার ইংরেজি অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, ‘গ্রেটেস্ট প্লেয়ার অব অল টাইম।’

এডিডাসের দেয়া প্লাটিনামের সেই বুটজোড়ার সঙ্গে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর। এই গ্রহে একমাত্র মালিকই তো হলেন মেসি। তো এমন কৃতিত্ব তুলে ধরতে হবে না ভক্তদের সামনে! মেসিও তুলে ধরলেন। পাঁচটি ব্যালন ডি’অর ট্রফি নিয়ে ছবির জন্য পোজ দিলেন তিনি। সঙ্গে থাকলো বিরল প্লাটিনামের বুটজোড়াও। ওই সময় মেসি স্বীকার করে নিলেন, ‘পাঁচটা ব্যালন ডি’অর জয় আসলে স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু। আমি যেমন স্বপ্ন দেখতাম, তার চেয়েও অনেক বেশি পাওয়া হয়েছে।’

messi-boot
নিজ বাড়িতে ছবির জন্য ট্রফির সঙ্গে প্লাটিনামের বুটজোড়ার পোজ দিতে গিয়ে মেসি বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি আগে যা করেছি, পরেরবার সেটাকেও ছাড়িয়ে যেতে। নিজেকেই হারানোর চেষ্টা করি সব সময়। চিন্তা থাকে সবগুলো লক্ষ্য পূরণ করার। গত বছরটা ছিল আমার সবগুলো লক্ষ্য পূরনের বছর। প্রায় সবগুলো লক্ষ্যই পূরণ হয়েছে আমার। এই বছরটা (২০১৫) ছিল সত্যিই দুর্দান্ত। আমরা বেশ পরিশ্রম করেছি এবং দারুন সফল হয়েছি। যে কারণে সম্মানিতও হয়েছি আমরা। পুরো বছরে নির্দিষ্ট কোন মুহূর্তকে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যাবে না। পুরো বছরই আমাদের জন্য আনন্দের মুহূর্ত নিয়ে হাজির হয়েছে। এমন আরেকটা বছর টেনে আনা হবে সত্যিই কঠিন।’