দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল আরো একটি বছর। সবাই পুরোনোকে ঝেড়ে ফেলে নতুন বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার ফাঁকে চলছে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব নিকেশ। সেই হিসেবের খাতায় এশিয়ান চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় বাজার বলিউডওে যোগ হয়েছে অনেক কিছু। এই যেমন গেল বছরগুলোর তুলনায় এবারে বি-টাউনে ছিলো অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ছড়াছড়ি। তার ভিড়ে কিছু চুমু দৃশ্য আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে সেন্সর বোর্ডের চোখরাঙানিকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েই। চলুন এক পলক দেখে নেয়া যাক ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে ২০১৫ সালের সেরা চুমুর দৃশ্যগুলোকে-
রণবীর-দীপিকা
বাস্তবে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু অনস্ক্রিনে তাদের রোমান্সের কদর রয়েছে বরাবরই। সেটারই প্রমাণ মিললো ‘তামাশা’ ছবিতে চুম্বনদৃশ্যে। যেখানে প্রাক্তন প্রেমিক রণবীর কাপুরের সঙ্গে লিপ লকে দেখা গেছে দীপিকা পাড়ুকোনকে। এটিই ছিলো বছরের মোস্ট হট এন্ড টপ বোল্ড সিন।
রণবীর-অানুশকা
চলতি বছরের ‘সিরিয়াল কিসার’ তকমাটি বোধহয় অনায়াসেই রণবীর কাপুরকে দেয়া যায়। কেননা এবারে তিনি বি-টাউনের টপ দুই নায়িকার সঙ্গে লিপ লকে হাজির হয়েছেন। প্রাক্তন প্রেমিকা দীপিকার পর এবছরে অানুশকা শর্মাকেও চুমু খেয়েছেন রণবীর। ছবির নাম ‘দিল ধড়কনে দো’। জোয়া আখতারের এ ছবিতে ‘পহেলি বার’ গানে এই জেনারেশনের প্রেম ও প্যাশনকে তুলে ধরে লিপ লক করলেন তারা।
বরুণ-দিব্যা
স্ত্রীকে হত্যা৷ প্রতিশোধের গল্প ‘বদলাপুর’। প্রতিশোধ নেওয়ার চরিত্রে ছিলেন তরুণ অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। ওদিকে এক সমাজকর্মীর ভূমিকায় ছিলেন দিব্যা দত্ত। যিনি মানবাধিকারের খাতিরে অপরাধীর মুক্তির জন্য সওয়াল করেছিলেন। প্রতিশোধ নিতে বরুণ পৌঁছয় দিব্যার বাড়িতে। প্রতিশোধ নিতেই দিব্যা দত্ত অভিনীত চরিত্রটির সঙ্গে যৌনতায় জড়ায় বরুণ অভিনীত রঘু। আরও একবার সাহসী হয় বলিউড। সেখানেও দেখা যায় বেশ কিছু চুমু দৃশ্য।
সুশান্ত-স্বস্তিকা
দুই ইন্ডাস্ট্রির দুইজন। বলিউডের সুশান্ত আর টালিগঞ্জের মেয়ে স্বস্তিকা। তাতে কী। ব্যোমকেশের গল্পে তারা মিষে গিয়েছেন গভীরভাবে। সুশান্তের ঘাড়ে চড়ে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশে হিন্দি সিনেমার বড় পরদায় হাজির হলো। পরিচালক দিবাকর বন্দ্যেপাধ্যায় চিত্রনাট্যে রাখেন একটি চুম্বনদৃশ্য। দর্শকদের উষ্ণতা দিলেও এই দৃশ্যটির জন্য সমালোচিত হয়েছেন পরিচালক ও পাত্র-পাত্রী!
আয়ুষ্মান-ভূমি
প্রথম ছবি ভূমি পেদিনীকরের। বিপরীতে আয়ুষ্মান খুরানা। একটু অন্যরকম গল্প। কল্পনা আর বাস্তবের সংঘাতে জর্জর এক পুরুষ। আর সেখান থেকেই চিনতে পারা দাম্পত্যের ভিতর লুকিয়ে থাকা প্রেমকে। এরকমই এক কাহিনি নিয়ে এসেছিল ‘দম লাগাকে হাইস্যা’ ছবিটি। সেখানেই ভূমি ও আয়ুষ্মানকে দেখা গেল গভীর চুম্বনদৃশ্যে।
রণদীপ-রিচা
পর্দায় চার্লস শোভরাজ হয়ে দেখা গিয়েছিল রণদীপ হুদাকে। কিলারের ভূমিকায় থেকেও দু’একটা দৃশ্যে রোম্যান্টিক মেজাজে পাওয়া গিয়েছিল চার্লসকে। এবং সেখানেই ‘মশান’ অভিনেত্রী রিচা চাড্ডার সঙ্গে চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন তিনি। দৃশ্যগুলো ছিলো বড্ড গভীর আর বাস্তব। তাই শিল্পের পাশাপাশি দর্শকরা এখানে উষ্ণতাও পেয়েছেন খাঁটি।
কালকি-সায়নী
এবছরের বলিউডের সবথেকে সাহসী দৃশ্য বোধহয় এটাই। সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত এক নারীর অবদমিত যৌন আকাঙ্খা ছিল ‘মার্গারিটা উইথ দ্য স্ট্র’ ছবির বিষয়। ছবিতে সেই যৌন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ ঘটেছিল কালকি কোয়েচলিন ও সায়নী গুপ্তার চুম্বনদৃশ্যে। ‘ফায়ার’ সিনেমার পর নারীর যৌনতার এমন জোরালো প্রকাশ আর দেখা যায়নি বলিউডে।
