খোঁজ মিলেছে কলেজছাত্রী ইয়াশা সুকন্যার (ভিডিও)

SHARE

য়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,মঙ্গলবার , ২৩ আগস্ট ২০২২ : চ্যানেল 24-এর অনুসন্ধানে খোঁজ পাওয়া গেছে কলেজছাত্রী ইয়াশা সুকন্যার। ২৩ জুন থেকে নিখোঁজ এই কলেজ ছাত্রীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে পরিবার।  ২০ আগস্ট, নিখোঁজ ইয়াশার সন্ধানে মা সংবাদ সম্মেলন করলেও সেই ঘরে ফিরতে চান না সন্তান। দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কেন এই সিদ্ধান্ত?

নিখোঁজ, আত্মগোপন নাকি নিরুদ্দেশ, ধোঁয়াশায় থাকা প্রশ্নের অনুসন্ধানে, চ্যানেল 24- এর মুখোমুখি হয় ইয়াশা। ক্ষোভ আর বাড়ি না ফেরার জন্য দুষছেন গর্ভধারিণী মাকে।

বিয়ের প্রায় হতে চলেছে দুই মাস, তবে মায়ের করা মামলায় বন্ধু ইসতিয়াক এখন কারাগারে, সঙ্গে নিখোঁজ খবরের চাপে অস্বস্তি ইয়াশার।

সন্তানের অভিযোগ নিয়ে মায়ের সাথে কথা হয় চ্যানেল 24 এর। কিছু অসংজ্ঞতি থাকলেও স্মৃতিচারণ করে উত্তর দেন নানাভাবে। শ্লীলতাহানীর চেষ্টা, বিয়ে আর মারধেরের আদ্যপান্ত জানার চেষ্টা চলে দীর্ঘক্ষণ।

এসব কিছু না জানা ইয়াশার প্রবাসী বাবার চাওয়া, ফিরে আসুক একমাত্র সন্তান।

এর আগে সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাওয়া নিখোঁজ ইয়াশা মৃধা সুকন্যাকে জীবিত ফিরে পেতে শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন ইয়াশা মৃধা সুকন্যার মা নাজমা ইসলাম লাকী।

সেময় নাজমা ইসলাম লাকী কান্নারত অবস্থায় বলেন, ‘আমার একটাই মাত্র মেয়ে, আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। ওকে ছাড়া আমি কি নিয়ে বাঁচবো। ১৬ বছর ধরে স্বামীর অপেক্ষায় আছি তিনি এখনও বিদেশ থেকে আসেনি, এখন দুমাস ধরে মেয়ের অপেক্ষা করছি। আমি কারও কোনও বিচার চাই না, শুধু মেয়েকে ফেরত চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন মা আমি তার কাছে আকুল আবেদন করছি আমার মেয়েকে ফেরানোর ব্যবস্থা করার জন্য। ইশতিয়াক নামে যে ছেলের সাথে আমার মেয়ে সারাদিন ছিল সে নাকি ওকে সন্ধ্যায় রিকশায় তুলে দিয়েছে। তাহলে আমার মেয়ে কোথায়? আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’

কলেজ ছাত্রীর পরিবার জানায়, ঘটনার দিন মায়ের সাথে সিদ্ধেশ্বরী কলেজে পরীক্ষা দিতে যান সুকন্যা। দুপুর ১২টায় তার মা তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে কলেজের অভিভাবকদের বসার রুমে অপেক্ষা করতে থাকেন। পরীক্ষা শেষ হয় ৩টায়। পরীক্ষার্থী বের হলেও সে বের না হওয়ায় বিষয়টি তার মা কলেজের শিক্ষকদের জানান। এরপর সেদিন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরে রমনা থানায় জিডি করেন। এরপর দিন সেটি মামলায় রূপান্তর হয়। সেই মামলায় ইশতিয়াককে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। সেই সাথে আগের দিনের ঘটনা উল্লেখ করা হয়। মামলা হলে রমনা থানা পুলিশ প্রেমিক ইশতিয়াক আহমেদ চিশতী ও তার বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসাবাদে তেমন কোনও তথ্য মেলেনি। সেই প্রেমিক এখন কারাগারে।