ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি, সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২ : মেহেরপুরের আন্দবাস গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাছিম হোসেন। কয়েক মাস আগে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টশিপের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পাননি।
অথচ চ্যানেল 24’র কাছে তথ্য আসে, নাছিম হোসেনের সব কাগজ ব্যবহার করে অন্য একটি মোবাইল নম্বরে অনলাইন জুয়ার কয়েক কোটি টাকা লেনদেনের।
এমন অজান্তে অপরাধের ভাগীদার হয়েছেন নওপাড়া ও কেদারগঞ্জ বাজারের অনেকই। দোকানের কাগজপত্র না থাকলেও শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়েও তোলা হয়েছে মোবাইল সিম। হয়েছে কোটি টাকার লেনদেন।
সম্প্রতি আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর জালে আটকা পড়েছেন অনলাইন জুয়ার আড়ালের কারিগররা। তাদের কাছেও মেলে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। এসব কারণে সদ্য চাকরি হারিয়েছেন আনোয়ার নামে একজন। বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া না গেলেও কথা হয় পরিবারের সঙ্গে।
আইনজীবীরা বলছেন, জুয়ার আইনটি অনেক দুর্বল। যার কারণে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে দেদারসে চলছে কার্যক্রম।
অনুসন্ধানে নেমে মিলেছে, দেশে অনলাইন জুয়ার মূল এজেন্টদের বেশিরভাগই মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গার। তালিকায় আছেন প্রভাবশালীদের নামও।
একটা সময় নির্দিষ্ট কিছু মানুষ টার্গেট হলেও অনলাইন জুয়ার জালে এখন গ্রামের সাধারণ দোকানিরাও। যার নেপথ্যে রয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির কিছু অসাধু কর্মী।