ভূয়া ওয়ারেন্টে যৌতুকের মামলায় যেভাবে আসামি হন জামাই-শ্বশুর, ছিলেন কারাগারে

SHARE
Joypuhat

যৌতুকের মামলায় আটক জামাই-শ্বশুর

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ : পেশায় তারা কৃষক, এলাকায় সজ্জন হিসেবে পরিচিত। সম্পর্কে জামাই-শ্বশুর। তবে যৌতুকের মামলায় ২২ দিন ছিলেন কারাবাসে। গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে আসা এক পরোয়ানায় গ্রেপ্তার হন জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সাখিদারপাড়ার শ্বশুর শফিউল ইসলাম ও জামাই মঞ্জুরুল ইসলাম।

মামলা ঢাকার। আসামি পাবনার। এমন ভুয়া ওয়ারেন্টে ২২ দিন কারাভোগ করলেন জয়পুরহাটের জামাই-শ্বশুর। এমনই ঘটনা ঘটেছে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের এক মামলায়। অনুসন্ধান বলছে- বিচারকের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে এমন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে একটি চক্র।ভূক্তভোগীরা জানায়, পুলিশ এসে আচমকা আমাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকায় এ নিয়ে আমাদের মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে।

জামাইয়ের যৌতুক মামলায় শ্বশুর কীভাবে আসামি হন? সাধারণ এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ গিয়ে দেখা যায়, ৭২/২০২০ নম্বর মামলার বাদী রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা। এই মামলার আসামি তার স্বামী। যার বাড়ি পাবনা সদরে। অথচ গ্রেপ্তার হওয়া জয়পুরহাটের শ্বশুর-জামাইয়ের বিষয়ে কিছুই জানেন না তারা।

আদালত জানায়, পরোয়ানাসহ জয়পুরহাটে পাঠানো নথিগুলোতে থাকা বিচারকের সই-সিল সবই জাল। আইনজীবীরা বলছেন, আইনের শাসনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আদালতের কাগজ বদলে হয়রানি করছে একটি চক্র। ভূক্তভোগীর আইনজীবী শহিদুল ইসলাম মৃধা জানান, আসামিদ্বয়ের জন্য যখন জামিন প্রার্থনা করলাম, তখন দেখলাম এটা একটি ভূয়া ওয়ারেন্ট।

জয়পুরহাট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম জানান, আদালত এ বিষয়ে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।

হাইকোর্টের নির্দেশনায়, আদালত থেকে ইস্যু করা যে কোনো ওয়ারেন্টে প্রস্তুতকারীর নাম, মোবাইল নম্বরসহ কিছু বিষয় বর্তমানে আবশ্যক করা হয়েছে। যা এ সব নথিতে ছিল না।