কেন্দ্রীয় কারাগার এলাকার নিরাপত্তা জোরদার

SHARE

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মূল ফটক ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা 5হয়েছে। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, র‌্যাব অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মীদের আনাগোনা রয়েছে। যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরী এ কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রয়েছেন। উর্ধ্বতন কোনো কারা কর্মকর্তাকে সকালে কারাগারের ভেতরে ঢুকতে দেখা যায়নি। নিরাপত্তা জোরদার হলেও সেখানে প্রতিদিনের মতো স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। কারা ফটকের মূল গেটের সামনে উৎসুক জনতার ভিড় রয়েছে। এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কারা কর্তৃপক্ষ বরবার আবেদন করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়। জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দেয়া মৃত্যুদন্ডের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য (রিভিউ) আনা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে গতকাল আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর আনা রিভিউ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়।
২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ মুজাহিদকে মৃত্যুদন্ডের রায় দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে একই বছরের আগস্টে মুজাহিদ আপিল দায়ের করেন। আপিল নিষ্পত্তি করে গত ১৬ জুন তার মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় দেয়া হয়। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল-১ সাকা চৌধুরীকে মৃত্যুদন্ড দিয়ে রায় দেয়। একই বছরের ২৯ অক্টোবর এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন সাকা চৌধুরী। আপিল নিষ্পত্তি করে গত ২৯ জুলাই মৃত্যুদন্ডের বহাল রাখা হয়।
আপিল বিভাগ গত ৩০ সেপ্টেম্বর জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে। এর পরদিন দুই আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদনের সুযোগ থাকায় আসামিপক্ষ আবেদন দাখিল করেন। নিয়ম অনুযায়ী, রিভিউ নিষ্পত্তির পর তাদের দন্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা নেই বলে বলে জানিয়েছেন এটর্নি জেনারেল।