উসকানিদাতা হেফাজত নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২২ এপ্রিল : মামলা নিয়ে রাজনীতি না করে সহিংসতার জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মনে করেন অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন। নাশকতার মামলায় হেফাজতের এখন পর্যন্ত ১৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যাদের অধিকাংশই এখন পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। বুধ ও বৃহস্পতিবারও দুজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এর মধ্যে হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি কোরবান আলীকে ৭ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।
পুরানো ও নতুন মামলা মিলিয়ে নাশকতার দায়ে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ এ নেতারা এখন পুলিশ হেফাজতে। যাদের অধিকাংশকেই আদালতের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, সহিংসতায় জড়িত এরকম ৩৫ জনের তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। এ ছাড়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে যাদের নাম আসবে তাদেরই করা হবে গ্রেফতার।

প্রতিদিনই কেউ না কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীকে। এদিনে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে আরেক নেতা কোরবান আলী কাসেমীর। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হেফাজতের সাবেক প্রচার সম্পাদক মুফতি ফখরুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাপ্ততথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দেয়া হবে অভিযোগপত্র।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, সকল সাক্ষ্যপ্রমাণ একসঙ্গে করে যখন অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে এগুলো বিশ্লেষণ করে অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতেই দোষী সাব্যস্ত করা হবে।

এ অবস্থায় গত সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দেখা করেছেন সংগঠনটির নেতারা। গণমাধ্যমের খবর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তাদের। তবে কোথাও মেলেনি কোনো আশ্বাস।

এ প্রেক্ষাপটে অপরাধ বিশ্লেষক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন মনে করেন, মামলা নিয়ে রাজনীতি না করে সহিংসতার জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

কার্জন আরো বলেন, হেফাজত নেতারা নানা রকম সহিংতায় উসকানি দিয়েছেন তাতে করে আমার কাছে মনে হয় যে, এ অভিযোগ তদন্ত করে বিচার আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।

হেফাজত নেতাদের গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশ।