বিজয় দিবসে আ. লীগের বর্ণাঢ্য র‌্যালি

SHARE

876মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকার দলীয় সংগঠন আওয়ামী লীগ বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালি বের করে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হওয়া পর্যন্ত সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রত্যয় নিয়ে আওয়ামী লীগের এই বিজয় র‌্যালি। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে বুধবার বিকেলে বিজয় র‌্যালিটির উদ্বোধন করেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

র‌্যালির উদ্বোধনী বক্তব্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে পৃথিবী দেখে যাও। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দণ্ড কার্যকর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন, কিভাবে পদ্মাসেতু করতে হয়। শেখ হাসিনা যা বলে তা করে দেখায়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, তিনি যা বলেন তা করে দেখান। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং পদ্মা সেতুর কাজের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তা আবারো প্রমাণ করেছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কিন্তু ৭৫ এ আমাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজাকারদের ক্ষমতায় বসিয়ে জিয়াউর রহমান দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমরা সেই রাজাকারদের বিচার শুরু করেছি। আমাদের যুদ্ধ শেষ হয় নাই এখনো। পাকিস্তানের দোসরদের বিচার শেষ করার আগ পর্যন্ত আমাদের এ সংগ্রাম চলবে। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্যে করে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘আপনার শরীরে এখনো মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত লেগে আছে। আপনি মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে সাথে বেঈমানি করে জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়েছেন। এ জন্য খালেদা জিয়ারও বিচার করা হবে।

র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া প্রমুখ।

রাজধানীর শাহবাগ, কাটাঁবন, সাইন্সল্যাব, রাসেল স্কয়ার হয়ে ধানমন্ডি ৩২-নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে র‌্যালিটি শেষ হয়। র‌্যালির সমাপ্তি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।