আকবর গ্রেফতার, সিলেট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জনতার ভিড়

SHARE

 ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),সিলেট প্রতিনিধি,০৯ নভেম্বর : সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বহিস্কৃত এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন নিহত রায়হানের মা। আর পলাতক এসআই আকবরকে গ্রেপ্তারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

গত ১০ অক্টোবর রাতে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদের মৃত্যুর পর আলোচনায় আসেন সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই আকবর। ঘটনার দিন রায়হানকে আটক করে কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে আসে পুলিশ। রাতে রায়হানের উপর নির্মম নির্যাতন চালান এস আই আকবরসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। ভোররাতে বাবাকে ফোন করেন রায়হান। পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাকে টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেয়ার আকুতি জানান।

টাকা নিয়ে আসলেও ছেলেকে বাঁচাতে পারেননি বাবা। পরদিন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রায়হানের লাশ পান তিনি। তার সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে পরিবার। মামলার তদন্তভার পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।

অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ১২ অক্টোবর সাময়িক বরখাস্ত করা হয় আকবরসহ ওই ফাঁড়ির চার পুলিশ সদস্যকে। এরপর থেকেই লাপাত্তা এসআই আকবর। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে অনশন শুরু করেন রায়হানের মাসহ এলাকাবাসী। তবে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে ঘরে ফেরেন তারা। আর ঘটনার ১ মাস পর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে সোমবার গ্রেপ্তার হন আকবর। এ নিয়ে মামলায় মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে এসআই আকবরসহ হত্যায় জড়িত সবার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন রায়হানের মা সালমা খাতুন। এতদিন প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবরের খোঁজ না মেলায় ক্ষোভ ছিলো এলাকাবাসীর। আকবর গ্রেপ্তারে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন তারা।

২০১৪ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন আকবর হোসেন ভূইয়া। পরে সহকারী উপ-পরিদর্শক ও উপ-পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পেয়ে ২০১৯ সালে যোগ দেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে। আকবরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ নানা অভিযোগ করেছেন বন্দরবাজারের বাসিন্দারা। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রাসাদোসম বাড়ি নির্মাণ করলেও এসআই আকবরের এই আয়ের উৎস অজানা।