ভুয়া একাউন্ট খুলে ডাক বিভাগের ২৫ কোটি টাকা লোপাট

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,০৩ নভেম্বর : খোলা হয় ১০টি অ্যাকাউন্ট। এসব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ডাক বিভাগ থেকে লোপাট করা হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা। দুই কর্মকর্তা আটক হবার পর তদন্তে উঠে এসেছে অর্থ লোপাটের এ তথ্য। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের অনুসন্ধানে মিলেছে, যাদের নামে এসব অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে, তারা তা জানতেনইনা। এখন পুরো চক্রটিকে শনাক্তের পাশাপাশি লোপাট হওয়া অর্থ কোথায়-তার অনুসন্ধান করছে দুদক।

গেল ২৬ আগস্ট ডাক বিভাগের চট্টগ্রাম প্রধান কার্যালয়ে উদঘাটন হয় সরকারি অর্থ আত্মসাতের ঘটনাটি। প্রাথমিকভাবে নগদ ২২ লাখসহ ওইদিন ৪৫ লাখ টাকা লোপাটে জড়িত ২ জন আটক হয়।

বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ডাক বিভাগ। যাচাই করা হয় ২১ হাজার সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাব। যার ১৩টিতে অনিয়ম আর এর মধ্যে ১০টি থেকে প্রায় ২৫ কোটি টাকা গায়েবের প্রমাণ পান কর্মকর্তারা। তারা জানান, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে হয়ে আসছে তছরুপের ভয়াবহ এ ঘটনা।

অর্থ লোপাটে ব্যবহার করা অ্যাকাউন্টের মালিকদের সন্ধানে যায় চ্যানেল টোয়েন্টিফোর। তাতে পাওয়া যায় নানা তথ্য। এই যেমন, নগরের ফিরোজশাহ কলোনীর মুক্তা বেগম। তার স্বজনরা জানান, ডাকবিভাগে মুক্তার কোন সাধারণ সঞ্চয়ী হিসাবই নেই।

আগ্রাবাদ টিএন্ডটি কলোনীতে তথাকথিত আরেক সঞ্চয়কারীর বাসায় গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। সেখানে থাকেন অন্যজন। এভাবেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি হয় একের পর এক।

অনুসন্ধান বলছে, মূল অভিযুক্ত নূর মোহাম্মদের কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালীর খরনদ্বীপেও একটি ঘর আর সামান্য জমি ছাড়া নেই তেমন কিছু। চলাফেরাও ছিল সাদামাটা।

প্রশ্ন উঠেছে, নূর মোহাম্মদের তেমন কোন দৃশ্যমান স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ না থাকলে, গায়েব করা ২৫ কোটি টাকা গেল কোথায়! দুদক উপপরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন অবশ্য বলছেন, এ টাকা চলে যেতে পারে জিপিওর ভেতর-বাইরে অন্য কারো হাতে। হতে পারে দেশ-বিদেশে ভিন্ন কোথাও বিনিয়োগ।

চক্রে জড়িতদের ধরতে নানা বিষয় খতিয়ে দেখার কথা বলছে দুদক।