সরকারি প্রতিবেদনে চীনা কোম্পানির জালিয়াতি

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,০৬ আগষ্ট : চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসিসি হারবার অ্যান্ড চ্যানেল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড বা সিআরসিসি হারবারের বড় ধরনের জালিয়াতির চিত্র উঠে এসেছে সরকারের বাস্তবায়ন পরীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে। এর আগে জালিয়াতির জন্য বিশ্বব্যাংকের নিষিদ্ধ হওয়া এই কোম্পানির কর্মকর্তারা ২০১৮ সালে বাংলাদেশেও ঘুষ দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিল এক সিনিয়র সচিবের কাছে। পরে ঘুষের ৫০ লাখ টাকা চীনা দূতাবাসে ফেরত পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে মত দিয়েছিলেন। তারপরও কোম্পানিটি গত কয়েক বছরে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের বিপুল অঙ্কের টাকার প্রকল্পের কাজ বাগিয়ে নিয়েছে। সর্বশেষ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পে’ এই কোম্পানিটিকে কাজ দিতে আবারও অভিজ্ঞতার জাল সনদ এবং বিশ্বব্যাংক কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়ার তথ্য গোপনের প্রমাণ উঠে এসেছে আইএমইডির প্রতিবেদনে।
সূত্র জানায়, ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রথম এই প্রকল্পের ক্রয় প্রস্তাব ওঠে গত ২৪ জুন। ওই সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে আইএমইডি তদন্ত করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেয়। এই তদন্ত করতে গিয়ে আরও একাধিক মন্ত্রণালয়ে একইভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে কাজ পাওয়ার তথ্যও উঠে আসে। এরপর আবারও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় ক্রয় প্রস্তাব তোলে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। কিন্তু আইএমইডির প্রতিবেদনে জালিয়াতির প্রমাণ উঠে আসার ফলে সর্বশেষ গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন না দিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।
সিআরসিসি হারবার চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের (সিআরসিসি) একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। জর্জিয়ার একটি প্রকল্পে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর বিশ্বব্যাংক সিআরসিসিসহ এর সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে ২০১৯ সালের ৫ জুন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। অন্য কয়েকটি দেশেও সিআরসিসি হারবার অনিয়ম, জালিয়াতির জন্য শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে জালিয়াতি প্রমাণ হলেও একাধিক মন্ত্রণালয়ের কাছে ‘বিস্ময়কর আতিথেয়তায়’ কাজ পেয়ে যাচ্ছে সিআরসিসি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, সর্বশেষ আইএমইডির প্রতিবেদনের পরও বেবিচক যে কোনো মূল্যে এই কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান সমকালকে বলেন, যথাযথ মূল্যায়ন করেই প্রকল্পের কাজ সিআরসিসি হারবারকে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আইএমইডির প্রতিবেদনের পাল্টা জবাব বেবিচক দিয়েছে জানিয়ে তিনি দাবি করেন, বেবিচক আইন ও বিধির ভেতরে থেকে দায়িত্ব পালন করেছে এবং যথার্থ কোম্পানিকে কাজের জন্য নির্বাচিত করেছে।
সিআরসিসি হারবারের জালিয়াতির প্রমাণ :আইএমইডির প্রতিবেদনে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্পে মহেশখালী চ্যানেলে সমুদ্রের একটি অংশ ভরাটের প্রসঙ্গ এসেছে। প্রকল্পের দরপত্রে এ ধরনের কাজে পূর্বঅভিজ্ঞতার সনদ চাওয়া হয়েছে। সেই সম্পর্কিত একটি সনদের কপিও বেবিচকের কাছে জমা দিয়েছে সিআরসিসি হারবার। সেই অভিজ্ঞতার সনদ কোন সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ দিয়েছে, তার কোনো উল্লেখ নেই। সনদ প্রদানকারী হিসেবে কারও কোনো স্বাক্ষরও নেই। স্বাক্ষরবিহীন এই সনদে সিআরসিসি হারবার চীনের গুয়ানজু প্রদেশে একটি প্রকল্পে কাজ শুরুর জন্য চুক্তির তারিখ উল্লেখ করেছে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর। কিন্তু কাজ শুরুর প্রকৃত তারিখ উল্লেখ করেছে ২০১১ সালের ১৮ নভেম্বর। অর্থাৎ, চুক্তির তিন বছর আগেই কাজ শুরু করেছিল কোম্পানিটি! আবার কাজ শেষ করার তারিখ দেখানো হয়েছে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর। কিন্তু সম্পন্ন কাজ হস্তান্তরের তারিখ দেখানো হয়েছে ২০১৫ সালের ১৮ জুন। অর্থাৎ কাজ শেষ করার প্রায় দেড় বছর আগেই সম্পন্ন কাজ হস্তান্তরের দাবি করেছে সিআরসিসি হারবার।
আইএমইডির প্রতিবেদনে সিআরসিসি হারবারের তথ্যে এই বড় অসঙ্গতি তুলে ধরার পর এর এ সম্পর্কে বেবিচক একটি লিখিত জবাবও দেয়। এতে বলা হয়েছে, ‘২০১১ সালে সিআরসিসি হারবারকে এই কাজের জন্য টেম্পোরারি কনট্রাকসন কনট্রাক্ট বা সাময়িক চুক্তিপত্র দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী তারা কাজ শুরু করে এবং পরবর্তী সময়ে তিন বছর পর তাদের সঙ্গে কাজের চুক্তি হয়। এই সাময়িক চুক্তির তারিখ বিবেচনায় কোম্পানি তিন বছর সাত মাস পর ২০১৫ সালে কাজ হস্তান্তর করে। তবে পরবর্তী সময়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয় ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে।’ বেবিচকের বক্তব্যের জবাবে আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ‘টেম্পোরারি কনট্রাকসন কনট্রাক্ট’ বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব সরকারি ক্রয় কিংবা দরপত্র সংক্রান্ত কোনো আইন বা বিধিতে নেই। এই ‘টেম্পোরারি কনট্রাকসন কনট্রাক্ট’-এর সপক্ষে কোনো দলিল সিআরসিসি হারবার দরপত্র জমা দেওয়ার সময় দাখিলও করেনি। মূল দরপত্র দলিলের বাইরে পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো দলিল দিলেও তা দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী গ্রহণযোগ্যও নয়।
এদিকে অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার নির্দেশে আইএমইডিকে পাঠানো কাগজপত্রে ‘টেম্পোরারি কনট্রাকসন কনট্রাক্ট’-এর সপক্ষে কোনো দলিল ছিল না। পরবর্তী সময়ে আইএমইডির প্রতিবেদনের জবাবের সময় বেবিচক সারসংক্ষেপের সঙ্গে নতুন করে একটি অস্পষ্ট দলিল পাঠায়। এই নতুন দলিলেও কাজ শুরুর তারিখ দেখানো হয়েছে ১৩ মাস পরে; ২০১২ সালের ডিসেম্বরে।
বেবিচকের দরপত্রের শর্তে কমপক্ষে ১৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়েছে। সিআরসিসি হারবারের মূল গ্রুপ সিআরসিসির নিজস্ব বিবরণী অনুযায়ী, কোম্পানি প্রতিষ্ঠা ২০০৭ সালে হলেও সিআরসিসি হারবারের প্রতিষ্ঠার তারিখ ২০১১ সালের ৭ জুলাই। সিআরসিসি হারবারের মূল প্রতিষ্ঠান সিআরসির অফিসিয়াল তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানির বর্তমান বয়স ১৩ বছর, আর গ্রুপভুক্ত সিআরসিসি হারবারের বয়স মাত্র ৯ বছর। ফলে কোম্পানিটি কোনোভাবেই ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত পূরণ করতে পারে না। অথচ বেবিচকের দরপত্রে দেওয়া তথ্যে সিআরসিসি হারবার তাদের প্রতিষ্ঠার তারিখ উল্লেখ করেছে ১৯৮৯ সাল। আইএমইডির প্রতিবেদনে এই তথ্যের বিপরীতে বেবিচক লিখিত জবাবে বলেছে, ‘১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত চীনের গুয়ানজু হ্যাংসেং কনস্ট্রাকসন গ্রুপকে ২০১১ সালে অধিগ্রহণ করে সিআরসিসি গ্রুপ এবং এর নামকরণ হয় সিআরসিসি হারবার অ্যান্ড চ্যানেল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড। ফলে অধিগ্রহণ করা গুয়ানজু হ্যাংসেং কনস্ট্রাকসন গ্রুপের অভিজ্ঞতাই এখানে সিআরসিসি হারবারের অভিজ্ঞতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।’
এর জবাবে আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, কোনো কোম্পানি অধিগ্রহণ করার পর তার পূর্ব অভিজ্ঞতা বা বয়স অধিগ্রহণ করা নতুন কোম্পানির বয়স বা অভিজ্ঞতা হিসেবে বর্ণনার সুযোগ নেই। যেমন ৫০ বছর বয়সী কোনো কোম্পানি ১০০ বছরের পুরোনো কোনো কোম্পানিকে অধিগ্রহণ করার পর ৫০ বছর বয়সী কোম্পানির বয়স ১০০ বছর উল্লেখ করার বৈধতা নেই। এ কারণে সিআরসিসি হারবারের বয়স ৯ বছরের বেশি হওয়ারও বৈধতা নেই।
আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জর্জিয়ায় একটি প্রকল্পে বড় ধরনের জালিয়াতির জন্য বিশ্বব্যাংক ২০১৯ সালের ৫ জুন সিআরসিসি হারবার এবং এর অধীন সব কোম্পানিকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে। বিশ্বব্যাংকের ঘোষিত নীতি অনুযায়ী, উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে স্বাক্ষর করা দেশগুলোর জন্য বিশ্বব্যাংকের সে নিষেধাজ্ঞা সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। চলতি বছরের ৩ মার্চ ওই নিষেধাজ্ঞা ওঠে গেলেও ২৪ মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে সিআরসিসির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা পর্যন্ত সংশ্নিষ্ট কোম্পানি চুক্তিবদ্ধ উন্নয়ন সহযোগী কোনো দেশ বা সংস্থার কোনো প্রকল্প কাজে অংশ নিতে পারবে না। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ। দেখা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় সিআরসিসি বেবিচকের দরপত্র ক্রয় করেছে এবং অংশ নিয়েছে, যা বৈধ বিবেচিত হয় না।

এর বিপরীতে বেবিচকের জবাবে বলা হয়, বেবিচকের দরপত্র খোলা হয় চলতি বছরের ১৯ মার্চ। এর আগেই ৪ মার্চ বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা ওঠে যায়। ফলে এখানে আইনগত কোনো সমস্যা হয়নি।
শুধু সিআরসিসি হারবারের জন্যই এত আয়োজন : অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর এ প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করে বেবিচক। ওই সময়ে বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা থাকার তথ্য গোপন করে দরপত্রের শিডিউল কেনে সিআরসিসি হারবার। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ২০২০ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে তিন দফা দরপত্র খোলার তারিখ পেছানো হয়। কারণ ৪ মার্চ বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত দরপত্র খোলা হলে সিআরসিসি হারবারকে যোগ্য দরদাতা হিসেবে নির্ধারণ করা সম্ভব ছিল না। তাই নানা কারণ দেখিয়ে তিন দফা পিছিয়ে ১৯ মার্চ সর্বশেষ দরপত্রের তারিখ নির্ধারণ করে বেবিচক। এর আগে কভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য সব দেশের সঙ্গে ঢাকার ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আসে। বিশ্বব্যাপী ফ্লাইট বন্ধ থাকা অবস্থায় মহামারি সংকটের ভেতরে ১৯ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র খোলার কাজ সম্পন্ন না করার জন্য দরপত্রে অংশ নেওয়া অন্য সাতটি কোম্পানি লিখিত আবেদন করে। তবে সেই আবেদন আমলে না নিয়ে ১৯ মার্চ দরপত্র খুলে অনেকটা গোপনেই পুরো প্রক্রিয়াটি সারে বেবিচক।
এ ব্যাপারে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা ৪ মার্চ ওঠে গেছে। আর দরপত্র খোলা হয়েছে ১৯ মার্চ। এক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, যদি বিশ্বব্যাংকের নিষেধাজ্ঞার সময়ে বেবিচকের দরপত্রের শিডিউল কেনা আইনসম্মত না হয়, তাহলে ওই সময়ে পায়রা বন্দর প্রকল্পে সিআরসিসির কার্যাদেশ পাওয়া যুক্তিযুক্ত হয় কীভাবে? তা ছাড়া সিপিটিইউর (সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট ইউনিট) ওয়েবসাইটের নিষেধাজ্ঞা তালিকায় কেন বিশ্বব্যাংক কর্তৃক সিআরসিসির নিষিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। এক্ষেত্রে বেবিচক কোনো ভুল করেনি।
সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সিপিটিইউ শুধু বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত কালো তালিকাভুক্ত কিংবা নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করে। উন্নয়ন সহযোগীর ক্ষেত্রে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব সংশ্নিষ্ট দপ্তরের দরপত্র কমিটির। আর দরপত্রের শর্তে বলা হয়েছে, যে কোনো ধরনের ভুল বা প্রতারণামূলক তথ্য থাকলে সংশ্নিষ্ট কোম্পানির দরপত্র বাতিল হয়ে যাবে। সিআরসিসি হারবারের দেওয়া প্রায় সব তথ্যই ভুল ও জালিয়াতিপূর্ণ। এক্ষেত্রে শুধু সিপিটিইউর ওয়েবসাইটে নিষেধাজ্ঞার তথ্য নেই বলে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই।