জীবনের কঠিন সময়ে মা অনেক কঠিন হয়েছিলেন

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,বিনোদন প্রতিনিধি,১০ মে : ‘মাকে নিয়ে যত স্মৃতি যত অনুভূতি সবই ভালো লাগার। কারণ প্রত্যেক সন্তানের কাছে তার মা আপাদমস্তকটাই ভালো লাগার। সব মা-ই তার সন্তানকে আদর-যতœ করেন, সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেন, শাসন করেন। মায়েরা স্বাভাবিকভাবেই এসব করে থাকেন। আমার মা-ও আমাকে আদর-যতেœ মানুষ করেছেন। কিন্তু এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি না। জীবনের কঠিন সময়ে মায়েদেরকেও কঠিন হতে হয়। আমার জীবনের কঠিন সময়ে মা অনেক কঠিন হয়েছিলেন। আর এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কমের সঙ্গে আলাপকালে এভাবেই কথাগুলো বলেন অভিনেত্রী, পরিচালক মেহের আফরোজ শাওন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী মেহের আফরোজ শাওনের মায়ের নাম তহুরা আলী। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হয়ে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়ের বিপদকালে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সব সামলে নিয়েছেন তিনি। জীবনের কঠিন সময়ের উদাহরণ টেনে শাওন বলেন, ‘২০১২ সালে হুমায়ূন আহমেদ চলে যাওয়ার পর কঠিন সময় পার করেছি। এক. পারিবারিক-সাংসারিক একটা চাপ তৈরি হয়েছিল। দুই. পারিপার্শ্বিক কঠিন চাপ তৈরি হয়েছিল। জীবনের এই কঠিন সময়ে আমার মা শক্ত হাতে সব নিয়ন্ত্রণ করেছেন। কোনো কারণে আমি যখন আবেগী হয়ে পড়তাম, তখন তিনি কঠিন হয়ে আমাকে মানসিকভাবে শক্ত করবার চেষ্টা করতেন। বকা দিয়ে বলতেন—হ্যাঁ, তোমার কঠিন সময় যাচ্ছে, তাই বলে দুর্বল হলে চলবে না। মানে কঠিন সময়টা শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করা আরকি। যা সবাই পারে না।’

‘সন্তানেরা যখন বড় হয়ে যায়, তখন মায়েরা ছোট হয়। এ সময় উল্টা সন্তানেরাই মাকে বকাঝকা করে থাকে। আমিও এমনটা করি। ঠিকমতো ওষুধ না খেলে বা ঠিকমতো ব্যায়াম না করলে আমিও মাকে বকা দেই। কিন্তু আমি খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ আম্মু এখনো আমাকে বকা দিয়ে সোজা করে ফেলেন। সেটা ডিপ্রেসন বা অন্য যা কিছু-ই হোক না কেন! এজন্য অন্য সবকিছুর চেয়ে এই কারণে আমি আম্মুর কাছে কৃতজ্ঞ।’ বলেন শাওন।

হুমায়ূন পতœী শাওন দুই সন্তানের জননী। একজন মা হিসেবে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে এ অভিনেত্রী বলেন—‘কোনো নারী কিংবা পুরুষ যখন সন্তানের অস্তিত্ব অনুভব করতে পারেন, ঠিক তখন একজন বাবা-মা নিজেকে নতুনভাবে চিনতে পারে। একজন ছেলের ক্ষেত্রে বলব, সে তার বাবাকে নতুন করে চিনতে পারে, আর একজন মেয়ে তার মাকে নতুন করে চিনতে পারে। আর এই অনুভূতি কখনো ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এটা পৃথিবীর প্রতিটা কন্যা যখন নিজে মা হয়েছে তখন বুঝতে পেরেছে।’