বলিউডের ‘বড়লোকের ব্যাটা’র সেরা সিনেমাগুলো

SHARE
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,বিনোদন প্রতিনিধি,৩০ এপ্রিল : সিনেমার জন্যই যেন তার জন্ম হয়েছিল। কখনো স্ত্রীর হাতে খুন হওয়া স্বামী, কখনো মদ্যপ প্রেমিক; কখনোবা  ‘বড়লোকের ব্যাটা’ হিসেবে দেখা গেছে তাকে। বলিউডে তিনি এসেছেন রাজার হালে, গেলেন ও সেভাবেই।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) ভারতের মুম্বাইয়ের এইচএন রিলায়েন্স হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান ঋষি কাপুর।

১৯৭০ সালে বাবা রাজ কাপুরের ছবি ‘মেরা নাম জোকার’ এ শিশু অভিনেতা হিসেবে অভিনয় শুরু করেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে অভিনয় থেকে দূরে থাকেনি কিংবদন্তি এ অভিনেতা। তিনি এমনই এক অভিনেতা ছিলেন যিনি স্ক্রিনে আসলে তার দিক থেকে চোখ ফেরানো কষ্টসাধ্য ছিল দর্শকের জন্য। না ফেরার দেশে আজ যেতে হলো তাকেও।

১৯৮০ সালের ‘কার্জ’ সিনেমাটি পরিচালনা করেছিলেন সুভাষ ঘাই। স্ত্রীর দ্বারা হত্যার শিকার এক যুবকের পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসার গল্প এটি। এখানে ঋষি কাপুরের চরিত্রটির নাম মন্টি। এই সিনেমাটিই ঋষিকে এনে দেয় রাজ্যের জনপ্রিয়তা।

১৯৭৭ সালে কাদের খানের লেখা কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত হয় ‘অমর আকবর এন্টনি’ নামের সিনেমাটি। এ সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন, শাবানা আজমি, ভিনোদ খান্নাসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন।

১৯৮২ সালের সিনেমা ‘ইয়ে ওয়াদা রাহা’ একটি মিউজিকাল রোমান্স। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে ঋষি অভিনয় করেছেন। এ সিনেমাটি সংগীত পরিচালনা করেছেন আরডি বর্মণ।

১৯৮৫ সালে নির্মিত ‘সাগর’ সিনেমাটিকে ক্লাসিক একটি প্রেমকাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এ সিনেমায় ঋষির সহ-অভিনেতা ছিলেন কামাল হোসেন ও ডিম্পল কাপাডিয়া। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রমেশ সিপ্পি।

‘নাসিব’ (১৯৮১) সিনেমাটির কথা বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ঋষি কাপুরের ক্যারিয়ারে। এ সিনেমাটিতে লটারি জিতে জীবনের কী পরিবর্তন হয় এবং জীবন কোথায় গিয়ে ঠেকে তা দেখানো হয়েছে। এই সিনেমাটির নির্মাতা মনমোহন দেশাই। অভিনয়ে রিশির সঙ্গে ছিলেন, অভিতাভ বচ্চন, শত্রুঘন সিনহা প্রমুখ।

‘হাম কিসিসে কম নেহি’ সিনেমাটি ঋষি কাপুর অভিনিত সিনেমাগুলোর অন্যতম। একশন কমেডি ঘরানার সিনেমাটি রিলিজ পায় ১৯৭৭ সালে। এর পরিচালনায় ছিলেন নাসির হুসাইন। স্মাগলারের পুত্রের চরিত্রে ভালোই মানিয়েছে ঋষি কাপুরকে।