পরিস্থিতি স্বাভাবিক, সরানো হয়েছে ট্রাক

SHARE

377রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কাজে ফিরেছেন শ্রমিকরা। রাস্তা থেকে সরানো হয়েছে পুরাতন ও অকেজো ট্রাক।

সংশ্লিষ্ট এলাকার মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রোববারের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তায় পড়ে থাকা ট্রাক গুলো সরানো হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জাগো নিউজকে বলেন, একটি গুজবে শ্রমিকরা গতকাল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিল। তবে মালিক ও শ্রমিকদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। সার্বিক পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে শিল্প পুলিশ সেখানে মোতায়েন রাখা হয়েছে।

ডিসি বলেন, গতকালের (রোববার) পর ওই এলাকার বেশ কিছু ট্রাক আজ সরানো হয়েছে। এক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিক এবং বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চালক অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় এ কার্য সম্পাদনের কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চালক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী জাগো নিউজকে বলেন, শ্রমিকরা এই অবৈধ উচ্ছেদের পক্ষে। ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্যই গতকাল কেউ হামলা চালানো ও ঝামেলার চেষ্টা করেছে। তাদের খুঁজে বের করার জন্য পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এই এলাকার নিরাপত্তা ও স্বতন্ত্র এবং পরিষ্কার একটি ট্রাকস্ট্যান্ড চাই। মেয়র মহাদয় আমাদের কথা দিয়েছেন তা তিনি দ্রুতই শুরু করবেন। আশা করছি এই এলাকার আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুরে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানের শেষ ভাগে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিক্ষোভ, মিথ্যা গুজবে ভর করে উত্তেজনার মধ্যদিয়ে অভিযান পণ্ড হয়ে যায়।

শ্রমিকদের বিক্ষোভে মুখে বাংলাদেশ ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান চালক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ‘অবরুদ্ধ’ ছিলেন অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক।

উচ্ছেদ অভিযানে তেজগাঁওয়ের ট্রাকস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অবৈধভাবে পার্কিং করা ট্রাক সরাতে গেলে হামলার শিকার হন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।

তবে আন্দোলন তীব্রতা পায় মিথ্যে গুজবে। জসিম উদ্দিন (৪০) নামে এক শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়। জসিম মারা গেছেন এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। ফলে শ্রমিকদের আন্দোলনে আরো তীব্র হয়।

বিক্ষোভরত শ্রমিকরা ট্রাকস্ট্যান্ডের সামনের সড়কে নেমে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন। শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী আহত হন। এক পর্যায়ে সাতরাস্তা মোড়েও বিক্ষোভের পাশাপাশি গাড়ি ভাঙচুর করেন তারা।

অবেশেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।