
থানায় অভিযোগ করেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা এম এ সাত্তার।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা এজিএম সাত্তার আজ মঙ্গলবার সকালে সদর মডেল থানায় ওই অভিযোগ দাখিল করেন।
গত ১৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর এমপি শামীম ওসমানের কর্মী-সমর্থকরা হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। সায়েম প্লাজা থেকে আইভীর লোকজনের ওপর বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পিস্তল উঁচিয়ে ফাঁকা গুলিও ছোড়া হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কিতে সড়কে পড়ে যান সেলিনা হায়াৎ আইভী।
মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার সমর্থকদের জমায়েতে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করেন নিয়াজুল ইসলাম খান। নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা নিয়াজুল ইসলাম খান যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে তিনি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি এ কে এম শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি এলজিইডির ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
অস্ত্র হাতে নিয়াজুলের ছবি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। পুলিশ সুপার মঈনুল হক সে সময় বলেন, অস্ত্রধারী নিয়াজুলকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে।