তিতাসে ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি আ’লীগের

SHARE

24116565_1467646803356499_584269706_oওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,হোমনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি,২৮ নভেম্বর : কুমিল্লার তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল মিটিংয়ে উত্তাল এখন তিতাস। গত ২৬ নভেম্বর রবিবার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা হোমনা-গৌরীপুর সড়ক অবরোধ করে বিােভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করায় দীর্ঘ যানজটে প্রায় ২ ঘন্টা রাজপথ অচল হয়ে পরে।
দুপুরে গাজীপুর খান মডেল বহুমূখী হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলীর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা যুবলীগ নেতা আতিকুর রহমান আতিক ও বলরামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ফরায়জির যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, তিতাস উপজেলা আ’লীগের সাবেক সদস্য সচিব ও সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক ও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-২ আসনে সম্ভাব্য এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ সারওয়ার হোসেন বাবু, উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মীর শওকত লিটন, উপজেলা আ’লীগ সদস্য মোঃ হাবিবুল্লা বাহার চেয়ারম্যান, মোঃ সামসুদ্দিন সরকার চেয়ারম্যান, জগতপুর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক টিটু, উপজেলা যুবলীগের আহŸায়ক সাইফুল আলম মুরাদ, যুবলীগ নেতা মুকবল মাহমুদ প্রধান, নুর মোহাম্মদ লালন সিকদার, নাজমুল হাসান কিরন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম তুষার। এছাড়াও বিভিন্ন ইউনিয়ন আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ চেয়ারম্যান মেম্বার ও কয়েক হাজার সাধারন জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দাউদকান্দির ঘটনায় তিতাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেল শিকদারকে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে মূল ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীনস্বার্থে তাকে আসামী করা হয়েছে। এতে তিতাসের রাজনীতিক, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ এর নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাই এবং অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি করছি। অন্যথায় আরো কঠোর আন্দোলনে নামবে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগসহ সহযোগি সংগঠন।
এদিকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী আলহাজ¦ জাহাঙ্গীর আলম সরকার ফোনে সাংবাদিকদের বলেছেন, দাউদকান্দিতে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটছে আর রহস্যজনক আসামী দেয়া হচ্ছে তিতাসের নেতাদের, এটা দুঃখজনক। আমি এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
এদিকে রহাস্যবৃত শাহ আলমের আতœগোপনকে ঘিরে জনমনে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। সন্ত্রাসী শাহ আলমের উপর হামলা নিয়েও পরস্পর বিরোধী বক্তব্য উঠেছে। এলাকায় চাউর আছে চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। দাউদকান্দির অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রনে নিতে গত আড়াই/তিন বছর ধরে সন্ত্রাসীদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি সিরিজ হত্যাকান্ড হামলা সংঘটিত হতে থাকে একের পর এক। এসময়ের মধ্যে মিলন খন্দকার, মিরাজ খন্দকার, তিতাস উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক ইউপি চেয়ারম্যান এই অঞ্চলের টপ টেরর মনির হোসাইন সরকার, সন্ত্রাসী মহিউদ্দিন, সন্ত্রাসী মোহাম্মদ আলী ও আবু সাইদ নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়। তারা সবাই পুলিশের খাতায় এলাকার দাগি সন্ত্রাসী এবং আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত ছিলো। সর্বশেষ গত ১৮ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে দাউদকান্দির গোপচর গ্রামে সন্ত্রাসী হমলার শিকার হয় এলাকার টপ টেরর জোড়া খুনের প্রধান আসামী শাহ আলম। তবে ঘটনার ৮দিন অতিবাহিত হলেও সন্ত্রাসী আলমের কোন হদিস পাচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ। ফলে আলমের রহস্যজনক আতœগোপন নিয়ে এই অঞ্চলের সর্বমহলে একটা রহস্যের জট দানা বেধে উঠেছে।
উল্লেখ্য, দাউদকান্দির জিংলাতলী ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহ আলমের উপর গত ১৮ নভেম্বর তার নীজ গ্রাম গোপচরে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা হামলা করে বাম-পা কেটে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা আক্তার বাদী হয়ে তিতাস উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদারসহ ১৭জনকে আসামী করে গত ২২ নভেম্বর বুধবার কুমিল্লা ৩নং আমলি আদালতে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি এফআইআর করার জন্য মাননীয় আদালত দাউদকান্দি থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এরই জের ধরে উক্ত মামলা থেকে ভাইস চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দিয়ে প্রকৃত দুষ্কৃতিকারীদের খুঁেজ বের জোর দাবী জানায় আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা।