ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০১ নভেম্বর : রাজধানীর বিভিন্ন মাদক স্পটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারির ফলে অনেকটাই আনাগোনা কমিয়েছেন উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। তবে স্পটে গিয়ে গাঁজা সংগ্রহ না করলেও ফোনের মাধ্যমে পেয়ে যাচ্ছেন নাটোরের গাঁজা। যেটি ধনীর দুলালদের কাছে কালাইয়া, কালা ভুনা বা দেশাল নামে পরিচিত।
মাদক ব্যবসায়ীদের একটি সিন্ডিকেট ইদানীং রাজধানীর বেশ কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে দেশাল পৌঁছে দিচ্ছে বলে জানা গেছে। যদিও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে দেশাল সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।

সূত্র জানায়, উত্তরবঙ্গের জেলা নাটোরের গাঁজা দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকেও উন্নতমানের। এই অঞ্চলের গাঁজার গন্ধ অন্যান্য অঞ্চলের গাঁজার গন্ধ থেকে আলাদা। আর এ কারণেই রাজধানীতে রয়েছে এর ব্যাপক চাহিদা। ফলে ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কখনও সরাসরি নাটোর টু ঢাকা আবার কখনও সিরাজগঞ্জের মামুদপুর, কান্দাপাড়া ও সুইপার কলোনি হয়ে রাজধানীতে নিয়ে আসে।
সূত্র আরও জানায়, নাটোরে এই গাঁজার ২৫ গ্রাম বিক্রি হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, সিরাজগঞ্জে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং ঢাকায় ঢুকে বিক্রি হয় ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকায়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে ১৯৮৭ সাল থেকে গাঁজার চাষ নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৮৮ সালে সব গাঁজার দোকান তুলে দেয়ার মাধ্যমে গাঁজার বিকিকিনিও বন্ধ করা হয়। তবে সহজে বহন সুবিধার কারণে ‘হালকা মাদক’ হিসেবে পরিচিত গাঁজার বিস্তার কমেনি।
দেশের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আন্তনগর ট্রেন ও বাস, ট্রাক ও প্রাইভেট কারে করে অন্য মাদকের মতোই গাঁজার চালান আসছে। বড় চালানের ক্ষেত্রে আলাদা পরিবহন হিসেবে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ঢাকা মেট্রো উপ অঞ্চলের পরিচালক মুকুল জ্যোতি চাকমা জানান, দেশের সব অঞ্চলের গাঁজা একই ধরনের হয়ে থাকে। গাঁজা ব্যবসার সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। তারপরও দেশালের বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব।


