খান আতাকে ‘রাজাকার’ বলায় বাচ্চুকে যা বললেন পুত্র আগুন

SHARE

a-59e4966ac2adfওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৭ অক্টোবর : প্রখ্যাত অভিনেতা, সংগীত পরিচালক, গীতিকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও চিত্রনাট্যকার প্রয়াত খান আতাউর রহমানকে ‘রাজকার’ বলে মন্তব্য করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু। আর সেই মন্তব্যের ভিডিও অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।

সম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘খান আতা অনেক বড় শিল্পী। কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু খান আতা রাজাকার। হ্যা, হ্যা, আমি না হলে খান আতা বাঁচত না। আমি গৌরব করে বলি, আমি না হলে খান আতা একাত্তরে মারা যায়, ১৬ ডিসেম্বরের পরে। ‘আবার তোরা মানুষ হ’ এটা নেগেটিভ ছবি। মুক্তিযোদ্ধাদের বলছে আবার তোরা মানুষ হ। আরে তুই মানুষ হ। তাই না! তুই তো রাজাকার ছিলি।”

তার এমন মন্তব্যে অনলাইন দুনিয়ায় ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কোনো অনুষ্ঠানে সবার সামনে প্রয়াত সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বকে নিয়ে এমন মন্তব্য কতটা যৌক্তিক তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে অনেকের মধ্য। আবার কেউ-কেউ বাচ্চুর মন্তব্য সমর্থনও করেছেন।

খান আতাউর রহমানকে ‘রাজকার’ বলা প্রসঙ্গে তার পুত্র জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আগুন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘বিশিষ্ট্য নাট্যব্যক্তিত্ব এবং আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু সাহেব আমার বাবা খান আতাউর রহমান সম্পর্কে কি যেনো বলেছেন নিউইউর্কের কোনো একটি অনুষ্ঠানে। আমি মনে প্রাণে চাইবো সেই ভিডিও ক্লিপটি ভার্চুয়াল মিডিয়ায় মাধ্যমে সারা পৃথিবীর বাংলাভাষাভাষীদের কাছে পৌঁছে যাক।’

আগুন বলেন, ‘যেহেতু আমার বাবা জনগণের কাছের একজন মানুষ, সেক্ষেত্রে তাদের প্রতিক্রিয়া জানার পরে প্রয়োজনে আমি প্রেস কনফারেন্স করবো এবং সাথে থাকবে ভার্চুয়াল মিডিয়া। আমার কাছে সদুত্তর আছে। বাচ্চু সাহেবের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রতি আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন।’

১৯২৮ সালে খান আতাউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন এবং তার মৃত্যু হয় ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত ‘এ দেশ তোমার আমার’ প্রথম বাংলা ছবিতে অভিনয় করেন। ‘জীবন থেকে নেয়া’ ও ‘নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা’ চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি সবার নজর কাড়েন।

১৯৭৫ সালে ‘সুজন সখী’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। পরে ‘এখনো অনেক রাত’ (১৯৯৭) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। যুদ্ধ পরবর্তী প্রেক্ষাপট নিয়ে ১৯৭৩ সালে তিনি র্নিমাণ করেন ‘আবার তোরা মানুষ হ’।