কুমিল্লা হোমনা উপজেলার অপরাধীরা ভীষন ক্ষমতাশালী

SHARE

images (1)ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ক্রাইম রিপোর্টার,৩০ জুলাই : কুমিল্লা হোমনা উপজেলায় অপরাধীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২২ জুন হোমনা রামকৃষ্ণপুরের নিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখা হয়। প্রতিবেদনে অপরাধীদের অবস্থান সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়। কিন্তু তেমন কোন প্রতিকার হয়নি বলে অনেকের ধারনা। তবে বেশ কয়েকজন অপরাধীকে পুলিশ গ্রেফতার করলে ও তাদের শাস্তি দিতে পারছে না পুলিশ প্রশাসন। এর মূল কারণ ক্ষমতাসীনদের মধ্য থেকে কেউ না কেউ ঘটনাস্থল থেকেই ছড়িয়ে রাখে অপরাধীদের। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড়িয়ে রাখে এই প্রভাবশালীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান,
নেতাদের কারণেই আমরা অপরাধীদের ছেড়ে দেই। যখন নেতারা সুপারিশ করেণ তখন আমরা অসহায় বোধ করি। তবে ঘুষ বানিজ্যের বিষয়ে পুলিশের সম্পৃক্ততা আছে বলে এমন অভিযোগ থাকলেও এই কর্মকর্তা অস্বীকার করেন।

এদিকে হোমনার রামৃষ্ণপুরের অপরাধীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে এ অভিযোগ শতশত দিনের বেলায় এদেরকে খুব একটা দেখা না গেলেও রাত দশটা থেকে এগারোটার ভেতরেই নেমে পরে বাড়ির প্রতিটি অলি গলিতে। এমন পরিস্থিতির স্বীকার হচ্ছে প্রতিদিনই। বিশেষ করে আড়ালিয়া হিন্দু পাড়ার বাসিন্দারা প্রতি রাতই আতংক গ্রস্থ থাকে। চুরি করা থেকে দর্ষনের মতো ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা যায়। তবে এরা সংখ্যালগু বলে কেউ প্রকাশ্যে কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না। অসহায়ত্বের কারণে সতিত্ব হাড়াতে হয় এটাই তাদের গোপন অভিযোগ। এসব অভিযোগের সত্যাতা যাচাই করতে গেলে জানা যায়। অভিযুক্তরা মাদক সেবীরা,অপরাধীরা বেশীর ভাগই প্রভাবশালীদের ছাত্রছায়ায় থাকে। যে কারণেই অপরাধীদে অপরাধ করে ও পার পেয়ে যায়।

এদিকে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত রামৃষ্ণপুর বাজারে স্বর্ণালংকারের দোকনা সহ ছয়টি দোকানে চুরি হয়। এ নিয়ে রামকৃষ্ণপুর বাজার কমিটির সভাপতি ও চান্দের চর ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান আবুল বাশার মোল্লা দোকান গুলো পরিদর্শণ শেষে তিনি এক বিবৃতিতে বলেন এমন ঘটনার পূণরাবৃতি না হয় এজন্য জোড়ালো পদক্ষেপ নেয়্রা আশ্বাস দেন এবং আজ বিকালেই বাজার কমিটির সকল সদস্য ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন বলে জানান। তবে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত চুরি যাওয়া ক্ষয়কতির পরিমান এখনো জানা যায়নি।