শিবিরের সাবেকরা নব্য জেএমবির নেতৃত্বে: মনিরুল

SHARE

vfhjuওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,৩০ জুলাই : পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম দাবি করেছেন, ইসলামী ছাত্র শিবির থেকে আসা সদস্যরা এখন নব্য জেএমবির নেতৃত্বে।

গুলশান হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী রাশেদুল ইসলাম র‌্যাশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য মিলেছে বলে গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।

আইএস দ্বারা উদ্বুদ্ধ নব্য জেএমবির মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দলের খবরও দিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনিরুল।

নাটোর থেকে রাশেদুলকে গ্রেপ্তারের পরদিন মনিরুল পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইসলামী ছাত্র শিবির থেকে আসা সদস্যরা নব্য জেএমবিকে এখন সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন’।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীকে কুপিয়ে হত্যায় জড়িত ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা শরিফুল ইসলাম খালেদের হাত ধরে রাশেদ নব্য জেএমবিতে যোগ দেয়।

জঙ্গি তৎপরতায় জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠনটি জড়িত বলে এর আগেও পুলিশ বলেছিল। তবে শিবির নেতারা তা প্রত্যাখ্যান করে বলে আসছে, এটা তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অপপ্রচার।

জঙ্গিদের মধ্যে নেতৃত্বের কোন্দলের বিষয়ে মনিরুল বলেন, বর্তমানে নব্য জেএমবির একটি অংশের নেতা আইয়ুব বাচ্চু ও অন্য অংশের নেতা হাদিসুর ইসলাম সাগর। দুই অংশের মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাসও তৈরি হয়েছে।

তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর রাশেদুল দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রত্যাশী ছিলেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

হলি আর্টিজান হামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় রাশেদের ধারণা ছিল তাকে সংগঠনের বড় পদে দেওয়া হবে। কিন্তু তামিম চৌধুরীর মৃত্যুর পর মইনুল ইসলাম মুসা নব্য জেএমবির আমির হলে তার ভেতর কিছুটা অভিমান কাজ করে।

এই গ্রুপটার সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। পরে জঙ্গি নেতা নুরুল ইসলাম মারজানের ভগ্নিপতি হাদিসুল ইসলাম সাগরের সঙ্গে তার যোগাযোগ গড়ে উঠে।

গুলশান হামলার পরিকল্পনা এবং অস্ত্র-বিস্ফোরক সরবরাহকারী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করেছে পুলিশ, তাদের মধ্যে এখন সাগরই পলাতক রয়েছেন। অন্যরা কেউ মারা পড়েছেন, কেউবা ধরা পড়েছেন।

সাগর এখন বাংলাদেশেই রয়েছেন বলে তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান মনিরুল।

রাশেদকে শুক্রবার ভোরে নাটোরের সিংড়া থেকে গ্রেপ্তারের পর শনিবার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। গুলশান হামলার ঘটনায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি দেন ঢাকার মহানগর হাকিম নুর নাহার ইয়াসমিন।