ফরহাদ মজহারকে চোখ বেঁধে মাইক্রোতে তুলে নেয়া হয়

SHARE
dmp_86266ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০৪ জুলাই :  ‘চোখ বেঁধে সাদা রঙের একটি মাইক্রোতে করে আমাকে তুলে নেয়া হয়’- ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে এমন তথ্য দিয়েছেন কবি ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার।
পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার ভোরে নিজের বাড়ি থেকে ফরহাদ মজহার ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন। পথে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল রাতে উদ্ধারের পর আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ফরহাদ মজহারকে প্রথমে রাজধানীর আদাবর থানায় নেয়া হয়। সেখান থেকে বেলা ১১টার কিছু আগে মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ চলে। এরপর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য নিম্ন আদালতে পাঠানো হবে ফরহাদ মজহারকে।
আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদে ফরহাদ মজহার চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে নিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন বলে জানান আব্দুল বাতেন। তিনি বলেন, ফরহাদ মজহার তাদের বলেছেন, মাইক্রোবাসে তোলার পর তিনি আর কিছু জানেন না। ফরহাদ মজহারকে চোখ বেঁধে মাইক্রোতে তুলে নেয়া হয়
আব্দুল বাতেন আরও জানান, তুলে নেয়ার পর ফরহাদ মজহারের ব্যবহৃত নম্বর থেকেই তার স্ত্রীকে ফোন করা হয়। ফোনে ফরহাদ মজহার জানান, যারা তাকে নিয়ে গেছে তারা ৩৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের অভয়নগরে খুলনা থেকে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে উদ্ধার করা হয় ফরহাদ মজহারকে। স্বজনদের অভিযোগ করেন, গতকাল ভোরে কে বা কারা ফরহাদ মজহারকে রাজধানীর শ্যামলীর হক গার্ডেনের বাসার সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে।
পুলিশ আরও জানায়, আদাবর থানায় ফরহাদ মজহারের পরিবারের করা অপহরণের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। আদালতে জবানবন্দি রেকর্ডের পর তার ভিত্তিতেই তদন্ত চলবে বলে ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।
ব্রিফিংয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
উদ্ধার করার পর গতকাল দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে খুলনার ফুলতলা থানায় সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি দিদার আহমেদ জানিয়েছিলেন, ফরহাদ মজহারের ব্যাগে মোবাইল ফোনের চার্জার, শার্টসহ বেড়াতে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া গেছে। ব্যাগ দেখে বোঝা যায় যে তিনি স্বেচ্ছায় ভ্রমণে এসেছেন। তিনি সুস্থ আছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অপহরণ নাটক সাজানো হয়েছিল বলে মনে হয়।