গুলি ও বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে ৫ জঙ্গির মৃত্যু

SHARE
gulsan-attack_85760ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,০১ জুলাই :  হলি আর্টিজানে জঙ্গিদের গুলি ও বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ।
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে ৫ জঙ্গি ও এক সন্দেহভাজনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে হস্তান্তর শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সোহেল মাহমুদ বলেন, নিহত এই ৬ জনের প্রত্যেকের শরীরে গড়ে দুই থেকে তিনটি গুলির আঘাত পাওয়া গেছে। দুজনের শরীরে ছিল বোমার আঘাত। এ ছাড়া একজনের বাম হাত ও গালে বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে এই চিহ্নগুলো আত্মঘাতী বোমার আঘাত থেকে নাকি পুলিশের ছোড়া বোমার আঘাত থেকে তৈরি হয়েছে, তা আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি।
হামলার আগে জঙ্গিরা কোনো ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করেছিল কিনা, এ প্রসঙ্গে সোহেল মাহমুদ বলেন, ৫-৬ জন মিলে এতগুলো মানুষকে হত্যা করছিল। এর আগে তারা কোনো ধরনের নেশাজাতীয় পদার্থ নিয়েছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। আমাদের কেমিক্যাল এক্সপার্ট রিপোর্টে এ ধরনের কোনো ড্রাগ বা উত্তজক পদার্থ নেয়ার প্রমাণ মেলেনি।
যে ৫ জঙ্গির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলো- নিবরাস ইসলাম, মীর সামেহ মুবাশ্বের, রুহান ইবনে ইমতিয়াজ, খায়রুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম।
এ ছাড়া ওই হামলায় নিহত সন্দেহভাজন সাইফুল ইসলামের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনও দেয়া হয়েছে। সাইফুল হলি আর্টিজানের শেফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। এতে নিহত হয় ৩ বাংলাদেশি নাগরিকসহ ২০ জন। অন্যদের মধ্যে ৯ জন ইতালির, ৭ জন জাপানের এবং একজন ভারতীয়। এ ছাড়া জঙ্গিদের হামলার শুরুতেই দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। রেস্তোরাঁর ভেতরে রাতভর জিম্মি ছিলেন অন্তত ২৪ জন, যাদের প্রায় ১১ ঘণ্টা পর পরদিন সকালে সেনা কমান্ডো পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডার বোল্টে’র সময় উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া রাতের বিভিন্ন সময় উদ্ধার করা হয় আরও অন্তত ৭ জনকে। অপারেশন থান্ডার বোল্টের পর রেস্তোরাঁ থেকে ৫ জঙ্গিসহ ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া পালাতে গিয়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক রেস্তোরাঁকর্মী। এ ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি কাউন্টার টেররিজম ইউনিট তদন্ত করছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম সম্প্রতি এ মামলার অগ্রগতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তবে চলতি বছরই অভিযোগপত্র দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।