“নির্যাতিত মাসুম তার তিন সন্তান নিয়ে স্বজনদের দ্বারে দ্বারে”

SHARE

imagesওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ বিডি ডট কম,ক্রাইম রিপোর্টার,২২ জুন : ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া বাঞ্ছারামপুরের ভুরভুরিয়া গ্রামের ডাক্তার আঃ মতিনের ছেলে মাসুম তার তিন ছেলে সন্তান নিয়ে স্বজনদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছে। স্ত্রী, শাশুরী ও তার বাড়ীর আত্মীয় স্বজনদের নিয়মিত অত্যাচারে গ্রাম ছেড়ে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ীতেও ঠাঁই মিলছে না মাসুমের। বর্তমানে তার তিন সন্তন সহ ছেলে আশরাফুল (১২) মেয়ে মাঈশা (৮) ও মালিহা (২) দের নিযে রাজধানী ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। তিন বেলা শুধু তার সন্তানদের খাবারের জন্য হাত পাততে হয় মাসুমকে। মাসুমের অভিযোগ তার স্ত্রী নাছরীন আক্তার (৩২) শাশুরী, স্ত্রীর বড়ভাই ওয়ালি উল্লাহ, চাচাতো ভাই আবুল সহ প্রায়ই মাসুম এবং তার তিন সন্তানকে মারধর করে এর কারন জানতে চাইলে মাসুম জানায়, ২০০২ সালে পারিবারিক ভাবেই তার বিয়ে হয় এবং স্ত্রীকে নিয়ে ভালোমতোই সংসার জীবন কাটাচ্ছিল। কয়েক বৎসর আগে তার পিতা মতিন ডাক্তার তার মাসুমের নামে সমস্ত বাড়ীঘর উইল করে দিয়ে যায়ন। পিতার ব্যবসা ও সুনাম ধরে রাখতেই মাসুম তার বাড়ীতে ঔষধ ব্যবসা চালিয়ে যায়। তার স্ত্রী তাকে প্রায়ই মাসুমের বাড়ী স্ত্রীর নামে লিখে দেওয়ার জন্য প্রায়ই প্ররোচনা দেয়। এতে মাসুম অস্বীকৃতি জানালেই মাসুমের স্ত্রী ও শশুর বাড়ীর লোক জন মাসুমের গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালীদের নিয়ে দল পাকাতে শুরু করে। মাঝে মধ্যেই মাসুমকে প্রায়ই তার স্ত্রী বিভিন্ন কায়দায় তার শশুর বাড়ীতে নিয়ে মারধর করে। সন্তানেরাও মায়ের ও মায়ের বাড়ীর আত্মীয় স্বজনদের অত্যাচার হতে রেহাই পায়নি।
গত বছরও তার বড় সন্তান আশরাফুলকে পায়ে আঘাত করে। বাস্তবেও আশরাফুলের ডান পায়ে আঘাতের চি‎‎হ্ন এবং সেখানে আটটি সেলাইয়ের দাগ দেখা যায়। এর মাঝেই মাসুম বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে মাসুম তার তিন সন্তান কে সাথে নিয়েই উপস্থিত হন এবং আরও অভিযোগ করেণ। তার স্ত্রীর সাথে মূল ঘটনা নিয়ে কোন তর্ক হলেই প্রায় বিবস্ত্র হয়ে মাসুমের প্রতিবেশী ও গ্রামের কিছু লোক নিয়ে অভিযোগ মিথ্যে অভিযোগ তুলে এবং বলে তাকে যৌতুক, ইয়াবা ও জঙ্গীবাদের মামলায় ঢুকিয়ে দেব। সর্বশেষে অত্যাচারের পর মাসুম বাঞ্ছারামপুর থানায় নিরাপত্তা চেযে একটি দরখাস্ত করেন। এ রিপোট লেখার আগে গত কাল তার সন্তানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে আশরাফুল জানায় তাহার এবং তার বাবা বাড়ীতে আসলে বাড়ীর লোকজনেরা তাদেরকে আবারও মারবে। অপরদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় মাসুমের স্ত্রী প্রায়ই এমন করে আর সর্বশেষে এক মাস আগে ঝগড়ার পর তার বাপের বাড়ীতে চলে যায়। এদিকে তার স্ত্রীর বড় ভাই ওয়ালীউল্লাহকে কোন ঘঠনার সত্বত্য জানতে চাইলে সে কিছুই জানেনা বলে জানান। এমনকি ওয়ালী উল্লাহকে তার বেনের সাথে কথা বলার অনুরোধ করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।