ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,তুরস্ক প্রতিনিধি, সোমবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ || অগ্রহায়ণ ১৭ ১৪৩২ :
তুরস্কের তৈরি কিজিলেলমা বিশ্বের প্রথম মানববিহীন যুদ্ধবিমান হিসেবে আকাশ থেকে আকাশে সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) তুরস্কের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়কার এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞের মতে, এটি তুর্কির আকাশযুদ্ধ সক্ষমতার নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে এবং আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। খবর আনাদোলুর।
তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প সচিবালয়ের প্রধান হালুক গোরগুন বলেন, ‘এই সাফল্য সেন্সর ফিউশন, রাডার, ফ্লাইট কন্ট্রোল থেকে শুরু করে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি পর্যন্ত একটি বিস্তৃত প্রকৌশল চেইনকে একই জাতীয় প্ল্যাটফর্মে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করার সক্ষমতা দেখিয়েছে। আমরা এখন প্ল্যাটফর্ম, সিস্টেম ও গোলাবারুদ—সবকিছুই জাতীয়ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেরাই তৈরি করছি।’
কৃষ্ণ সাগর উপকূলে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় কিজিলেলমা নিজস্বভাবে তৈরি ‘গকদোগান’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে দ্রুতগতির একটি জেটকে অনুসরণ করে এবং পরে ধ্বংস করে। আক্রমণের নির্দেশনা দেয় আসেলসানের তৈরি ‘মুরাদ’ এইএসএ রাডার।
Advertisement
প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

বায়কারের চেয়ারম্যান ও সিটিও সেলচুক বায়রাকতার বলেন, কিজিলেলমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে লক্ষ্যভেদ করে আবারও এভিয়েশন ইতিহাসে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।’
কোম্পানির সিইও হালুক বায়রাকতার এটিকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ আখ্যা দিয়েন বলেন, ‘নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি বিমান, রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র—সব মিলিয়ে পুরো আকাশযুদ্ধ প্রক্রিয়া আমরা সম্পূর্ণ দেশীয় সক্ষমতায় সম্পন্ন করেছি। এই গর্ব জাতির।’
প্রতিরক্ষা খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান আসেলসান জানায়, রাডার সিকার হেড, জাতীয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিশন-সিস্টেমে তাদের অবদান রয়েছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান রকেটসানের মতে, এই পরীক্ষা ‘আধুনিক আকাশযুদ্ধের নিয়ম বদলে দিতে পারে’।
Advertisement

তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও কিজিলেলমার এই সাফল্যকে স্বীকৃতি জানিয়ে বলেছে, দৃষ্টিসীমার বাইরে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে জেটচালিত লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসকারী এটি বিশ্বের প্রথম মানববিহীন যুদ্ধবিমান।

তুরস্কের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মানববিহীন যুদ্ধবিমান কিজিলেলমা। ছবি: আনাদোলু


