(ভিডিও) ‘কারাগারে নয়, আমরা ছিলাম একটি কসাইখানায়’

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (ভিডিও),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি, মঙ্গলবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ||  আশ্বিন ২৯ ১৪৩২ :

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময় করেছে ইসরাইল ও হামাস। গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আবু রাফে ইসরাইলের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন। নিজের মুক্তিকে আবু রাফে ‘দুর্দান্ত অনুভূতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘আমরা কারাগারে নয়, একটি কসাইখানায় ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ওফার কারাগার নামে একটি কসাইখানায় ছিলাম। অনেক যুবক এখনও সেখানে আছে। ইসরাইলি কারাগারের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। সেখানে থাকার কোনো তোশক নেই। তোশকগুলো সবসময়  নিয়ে যায়। খাবারের অবস্থাও অনেক খারাপ। সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ।’

 

মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি ইয়াসিন আবু আমরা। তিনিও ইসরাইলের কারাগারের পরিস্থিতিকে ‘খুব, খুব খারাপ’ বলে বর্ণনা করেছেন।

Advertisement

প্রতিটি উপজেলায় সংবাদদাতা আবশ্যক। যোগাযোগ ০১৭১৪৪৯৭৮৮৫

আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘খাবার, নির্যাতন ও মারধর সবদিক থেকেই খারাপ ছিল। খাবার বা পানি কিছুই ছিল না। আমরা টানা চার দিন ধরে কিছু খাইনি। এখানে আসার পর আমাকে দুটি মিষ্টি দিয়েছে, সেগুলো আমি খেয়েছি।’
 
 
সোমাবার ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি সাইদ শুবাইর। নিজের অনুভূতি তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছে না।
 
তিনি বলেন, ‘অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। কারাগারের বাইরে মুক্ত আকাশে সূর্য দেখা এক অবর্ণনীয় অনুভূতি। আমার হাত এখন হাতকড়া থেকে মুক্ত। স্বাধীনতার কোনো মূল হয় না, এটা অমূল্য।’
 

Advertisement

 
আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ইসরাইল প্রায় ২৫০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। যারা যাবজ্জীবন বা দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন। এছাড়া আরও ১ হাজার ৭১৮ জন মুক্তি দিয়েছে, যাদের গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আটক করা হয়েছিল। জাতিসংঘ এই বন্দিদের ‘বলপূর্বক গুম’ হিসেবে বিবেচনা করেছিল।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে গাজা উপত্যকায় পৌঁছানোর পর মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিদের স্বাগত জানাচ্ছেন বাসিন্দারা। ছবি: এপি