বাংলাদেশি কিশোরীকে পাচারের অভিযোগে দুই ভারতীয় গ্রেপ্তার

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম ((ভিডিও),পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা  প্রতিনিধি, মঙ্গলবার   ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ||  আশ্বিন ৮ ১৪৩২:

বাংলাদেশি এক কিশোরীকে পাচারের অভিযোগে দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন আমির আলী শেখ এবং অমল কৃষ্ণ মন্ডল। তাদের উভয়েরই বাড়ি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।

Advertisement

গত রবিবার এনআইএ-এর তরফ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওই বাংলাদেশি কিশোরীকে কাজের লোভ দেখিয়ে অবৈধভাবে ভারতে আনা হয়। এরপরে তাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়।

শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর গাইঘাটা ও পেট্রাপোলে একযোগে অভিযান চালায় এনআইএ। অমল কৃষ্ণ মণ্ডল ও আমির আলি শেখের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভারতীয় ও বাংলাদেশি মুদ্রা এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করা হয়। পরে তাদের পেট্রাপোল থানায় নিয়ে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে মানব পাচারের তথ্য উঠে আসে। নয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা শেষে বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 

এনআইএ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক মানুষের গ্রেপ্তার এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের জব্দের মাধ্যমে এনআইএ সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশি নারীদের ভারতে পাচারের সঙ্গে জড়িত মানব পাচারকারী নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।

কয়েক মাস আগে ভারতের ওড়িশার ভুবনেশ্বর থেকে ওই বাংলাদেশি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, ওই কিশোরীকে বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁওয়ে পাচার করা হয়েছিল এবং তারপর কলকাতা হয়ে ওড়িশার কটকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে এনআইএ-এর।

ওই তরুণীর মামলাটি তদন্ত করে, এনআইএ বাংলাদেশে বসবাসকারী এক দম্পতির জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারে। পরে মানবপাচার চক্রে দম্পতির সঙ্গে অনলাইন আর্থিক লেনদেনের সাথে দুই ভারতীয় নাগরিক আমির আলী শেখ এবং অমল কৃষ্ণ মন্ডল-এর সম্পৃক্ততার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সংস্থার নজরে আসে। তারই ভিত্তিতে এই দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত রবিবার তাদের উভয়কেই স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। আদালত অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডে ওড়িশায় নেওয়ার অনুমতি দেয়।

 

এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার আমির আলী শেখের চাচা সাহেব আলী বলেন, “আমার ভাতিজা মানি এক্সচেঞ্জের ব্যবসা করে। কিন্তু কোনো দুই নম্বরি ব্যবসা করে না। শনিবার ভোর চারটা থেকে অভিযান চালানো হয়। কিন্তু কী কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা আমি জানি না।”

Advertisement

অন্যদিকে অমল মন্ডলের স্ত্রী মিনি মন্ডল জানান, গত শনিবার ভোর বেলায় স্বামীকে তাদের বাড়ি থেকে পেট্রাপোল থানাতে আনা হয়। তার স্বামী কোনো কাজ করে না। আগে মাঠে চাষ করত, জামা কাপড়ের ব্যবসা করত। কেন তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তিনি জানেন না।