ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিশেষ প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার ১৪ আগস্ট ২০২৫ || শ্রাবণ ৩০ ১৪৩২ :
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন কর্তৃক জানে আলম অপুকে অপহরণ জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেছেন অপুর স্ত্রী আনিশা। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ তোলা হয়। এ সময় তিনি বলেন, গোপীবাগে ইশরাকের বাসায় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছে। তার লোকজন তাকে অপহরণ করে নিয়ে এ স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে।
অপু মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আনিশা। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে বলেন, ‘আমাকে দেখার কেউ নেই। আমি একা। আমার যেন কিছু না হয়।’
Advertisement
ইশরাকের লোকজন অপুকে তুলে নিয়ে রাতে ভিডিও ধারণ করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, তার কাছ থেকে বারবার আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নাহিদ ইসলাম নাম শুনতে চাওয়া হয়। পরদিন সকালে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে, সামাজিক মাধ্যমে ৩৫ মিনিটের একটি ভিডিওতে ঘটনার আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেছেন জানে আলম অপু।
ভিডিওতে অপু বলেন, গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় টাকার ব্যাগ নিতে যে ছেলেকে দেখেছেন, সেটা আমি। আপনার একটি ফুটেজের মাধ্যমে দেখেছেন যে সমন্বয়করা চাঁদাবাজিতে জড়িত। যে সমন্বয়ক গত বছর ছিল মহানায়ক তারা হয়ে গেল চাঁদাবাজ।
তিনি বলেন, আমার কিছু প্রশ্ন আছে। আপনারা কি জানেন, ওইদিন ভোর ৫টার সময় ওই জোনের ডিসি-এসিকে অবগত করে একদম অফিসিয়াল প্রসেসে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শাম্মির (সাবেক এমপি) বাসায় আমরা অভিযান চালাই। আপনারা কি জানেন, সেই অভিযানে যাওয়ার আগে গুলশানের কোনো একটি জায়গায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে আমার কথা হয়।
অপু বলেন, মিডিয়ায় সেই বিষয়টি নেই কেন? আগের রাতে অভিযানের বিষয়টি মিডিয়ায় ধামাচাপা দেওয়া হলো কেন? ভোরবেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেই অভিযানের তথ্য নেই কেন। অভিযানের সময় আমরা বুঝতে পারি শাম্মি সেখানে ছিলেন। কিন্তু তথ্য পেয়ে তিনি পালিয়েছেন। যে আড়াই মিনিটের ভিডিও ভাইরাল করে আমাদের রাতারাতি ভিলেন বানানো হলো- তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ, সৎ সাহস থাকলে আগের রাতের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেন। দেখি কে ফোন করছেন, কার ফোনে শাম্মি ওই বাসা থেকে বের হয়েছেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, অপু গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের যুগ্ম আহবায়ক। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে। অপুর আগে গত ২৬ জুলাই গ্রেপ্তার হন মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, মো. আমিনুল ইসলাম, ইব্রাহীম হোসেন মুন্না ও আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।